খলিলুর হত্যা: দুইজনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

খলিলুর হত্যা: দুইজনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সংস্থার মহাসচিব এম খলিলুর রহমান হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

ফাঁসির রায় পাওয়া দুই আসামির মধ্যে টিপু ওরফে হীরা কারাগারে থাকলেও রমজান আলী রমজান পলাতক।

আর যাবজ্জীবন সাজার আসামিরা হলেন- মিনহাজ, মো. শহীদ মোস্তফা, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও পলাতক হাসানুর রহমান রুবেল।

২০১১ সালের ১ জানুয়ারি রাতে খলিলুর রহমান মিরপুর ১ নম্বরে শাহ আলী বাগে জনতা হাউজিংয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইয়াকুব আলীর ভাড়া বাসায় নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। সেখানেই খলিলুরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী হাছিনা পারভীন আটজনের নাম উল্লেখ করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

ডিবি পুলিশ তদন্তে এ ঘটনায় আরও দুজনের সম্পৃক্ততা পায়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদারক সেলে থাকা এই মামলাটির তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ গত ৩১ জুলাই অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রভুক্ত ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন অন্ধ সংস্থার সদস্য।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই পাঁচজন হলেন- মিনহাজ উদ্দিন, আইয়ুব আলী, ইয়াকুব আলী, নুরুল আলম সিদ্দিক ও সোহাগ হোসেন। বাকি পাঁচজন ভাড়াটে খুনি। তাঁরা হলেন- রমজান আলী, হাসানুর রহমান ওরফে রুবেল, মো. শহিদ, টিপু ওরফে হীরা ও শহিদুল ইসলাম।

হাসানুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রমজান ছাড়া বাকি নয়জন কারাগারে আছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এজাহারভুক্ত আসামি রফিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেন এবং সন্দেহভাজন বাবুলের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বাবুলকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।

 

সম্পর্কিত খবর