'রাহুল আমাদের দেখাশোনা করেছেন অর্থও দিয়েছেন, কাউকে বলা বারণ ছিল'

'রাহুল আমাদের দেখাশোনা করেছেন অর্থও দিয়েছেন, কাউকে বলা বারণ ছিল'

অনলাইন ডেস্ক

নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসির দিনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে একটি গোপন কথা প্রকাশ করলেন তার বাবা বদ্রিনাথ সিং।  

তিনি বলেন, মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাদের পরিবারকে স্বান্তনা দিয়েছেন। নানাভাবে সাহায্যও করেছেন। অনেক সময় অর্থও দিয়েছেন।

কিন্তু বাইরে সে কথা জানাতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছিলেন।

বদ্রীনাথ জানান, মেয়ের মৃত্যুর পরে অনেকেই তাদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল একা তাদের টানা সাহায্য করে গিয়েছেন। তার কথায়, “মেয়ের মৃত্যু আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে।

রাহুল গান্ধীর রাজনীতি যাই হোক, তিনি আমাদের কাছে দেবদূতের মতো। ”

বদ্রীনাথ জানিয়েছেন, রাহুল বিশেষ করে নির্ভয়ার ভাইকে সাহায্য করতেন। রাহুলের সাহায্যেই সে এখন পাইলট হয়েছে। রাজনীতিতে তার কোনও আগ্রহ নেই। রাহুলও নির্ভয়ার পরিবারকে সাহায্য করা নিয়ে রাজনীতি করেননি।

নির্ভয়ার বাবা বলেন, “রাহুলের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। তিনি আমাদের বরাবরই বলতেন, আমাদের সাহায্য করার পিছনে তার কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। মানবিক কারণেই তিনি আমাদের সাহায্য করছেন। ”

বদ্রীনাথ তার ছেলের নাম জানাননি। কিন্তু বলেছেন, সে এখন পাইলট হিসেবে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসে চাকরি পেয়েছে।

সাত বছরের আইনি লড়াইয়ের পর শুক্রবার ভোরে তিহাড় জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে নির্ভয়ার ৪ ধর্ষককে। এই ঘটনায় করোনা আতঙ্কের মধ্যেও একটা স্বস্তি পেয়েছে দেশ। এই ঘটনার পরে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, ন্যায়বিচার জয় পেল।

শুক্রবার সকালে টুইট করেন মোদি। টুইটে তিনি লেখেন, “ন্যায়বিচার জয় পেল। ভারতের নারীদের সম্মান ও সুরক্ষা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নারী শক্তি সব ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে মিলে এমন একটা দেশ বানাতে হবে যেখানে নারীদের ক্ষমতায়নের দিকেই নজর দেওয়া হয়। যেখানে সাম্য বজায় থাকে। ”

দীর্ঘ টালবাহানার শেষে চতুর্থবারের জন্য ঘোষণা হয়েছিল ফাঁসির তারিখ। এর আগে যেভাবে তিন-তিন বার ফাঁসির তারিখ পিছিয়েছে, তাতে সন্দেহ ছিল এবারও ফাঁসি হবে কিনা। আশঙ্কা ছিল, ফের কোনও আইনি ফাঁক বের করে সুযোগ নিতে পারে অপরাধীরা। সে চেষ্টাও চলেছিল বিস্তর। ফাঁসির দু’দিন আগে থেকেই শুরু হয় একের পর এক আবেদন। এমনকি ফাঁসির ঠিক আগের রাতেও মাঝরাত থেকে শুরু হয় মহানাটক। কিন্তু শেষমেশ কোনও অপ্রত্যাশিত রায় আসেনি আদালতের পক্ষ থেকে। নির্ধারিত সময় ও সূচি মেনেই ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। ফাঁসি হয়েও যায় ঠিক সময়ে।  

সূত্র: দ্য ওয়াল

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল