করোনা নিয়ে মন্ত্রীদের কথা মানুষের হাসির খোরাক জুগিয়েছে

করোনা নিয়ে মন্ত্রীদের কথা মানুষের হাসির খোরাক জুগিয়েছে

শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল

স্বাস্থ্যখাতে হরিলুটের কারণে দেশের হাসপাতালগুলোর বেহাল দশা। করোনা আরো ছড়িয়ে পড়লে দেশের কী ভয়াবহ অবস্থা হবে তা আমাদের ধারণার বাইরে। ঢাকার বাইরে করোনা আক্রান্তের সেবা কে দেবে? কোথায় দেবে? ঢাকায় রোগীর চাপ বেড়ে গেলে জেলা, উপজেলায় ভাইরাস সনাক্তের জন্য ডাক্তার পাওয়া যাবে না। ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার আগেই হয়তো অনেকেই মৃত্যুবরণ করবেন।

ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ দেশের কোনো হাসপাতালেই নাই চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় উপকরণ।

বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেওয়া হয় না। সব জায়গায় নাই জরুরি অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা। গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মিডিয়ায় কথা শুনে, আর সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের প্রস্তুতি অপ্রতুল, সীমাবদ্ধতা রয়েছে অনেক।

(যদিও মন্ত্রী এখনো বড় বড় লেকচার দিচ্ছেন)।

প্রতিবছর বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থের বেশির ভাগই দুর্নীতিতে চলে যায়। যার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া ‌‘গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা’ শতভাগ সফল হচ্ছে না। দেশের স্বাস্থ্যখাত কে নৈরাজ্য মুক্ত করে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পোঁছে দেওয়ার জন্য সবধরনের ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের তিন মেয়াদের একবার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেন একজন ডাক্তারকে, তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন স্বাস্থ্যখাত নৈরাজ্য ঠেকাতে, সাথে আত্মীয় স্বজনের দুর্নীতি তো ছিলই। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেন জাতীয় চার নেতার পরিবারের একজনকে। কিন্তু মাননীয় নেত্রীর আশার গুড়ো বালি দিয়ে তিনি ও তার আত্মীয় স্বজন মিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বানিয়ে ফেলল দুর্নীতির আখড়ায়। সর্বশেষ দায়িত্ব পেলেন বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি স্বাস্থ্যসেবায় অনভিজ্ঞ, তার উপর দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে বেফাস কথা বলেই চলেছেন। আর মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি তো চলছেই। বন্ধ উনিও করতে পারেন নাই।

মাননীয় নেত্রী যাকে যে দায়িত্ব দিচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই নিজের আখের গোছানো আর দুর্নীতিতে ব্যস্ত। নেত্রীর আস্থার প্রতিদান বেশিরভাগ মন্ত্রী দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পাগলপ্রায় কথা মানুষের হাসির খোরাক জুগিয়েছে।

লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর