করোনা প্রথমে চীনে আক্রমণ করল। সেটা ছিল ডিসেম্বরে। তারপর মানুষের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়াল। প্রায় তিন মাসে বিশ্বের আতঙ্কের নাম করোনা।
দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল।আমাদের দেশে শনাক্ত হয়েছে কয়েকদিন আগে। আমরাও আক্রান্ত হব সেটা প্রায় সবাই অনুমান করছিলেন। তবে সেটা ব্যাপক মানুষের ভেতর আলোচনায় ছিল না।
এই সময়ের ভেতর সরকারের করোনা মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা পাওয়া যায়নি। এখনও পরিষ্কার নয়। একজন মীরজাদী টেলিভিশনে প্রতিদিন কথা বলেন। এটুকুই মানুষ দেখে। আমাদের দেশেও মৃত্যু আঘাত করেছে।
এখনও আমরা জানি না করোনা মোকাবেলায় কার্যকর পরিকল্পনাটা কি? চীনসহ কয়েকটি দেশ করোনা মোকাবেলায় সফল বলা যায়। তাদের অভিজ্ঞতা কি কাজে লাগানো হবে? লক্ষণ দেখছি না।
কারণ তারা আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত করেছে। শনাক্ত করে তাদের আটকে দিয়েছে। যেন এরা অন্য কাউকে আক্রান্ত করতে না পারে। চিকিৎসা করেছে আক্রান্তদের।
আমাদের সময় কমে আসছে বলেই মনে হচ্ছে। প্রথম সর্বনাশ হয়ে গেছে হোম কোয়ারেন্টাইনের সিদ্বান্ত। বাস্তবতা বিবর্জিত কিতাবি ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে।
ঢাকার মিরপুর, সিলেট, গাইবান্ধা আমাদের চরম সংকেত দিয়েছে। দ্রুত যদি আমরা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে না পারি তাহলে ভয়াবহ অবস্থায় পতিত হব।
বিলম্বের আর কোনো সময় নেই। দ্রুত আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের আটকান। মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়া রুখেন। না হলে সামাল দেয়া যাবে না। একটি সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সঠিক সিদ্ধান্ত দিন। মানুষের জীবন বাঁচবে।
মৃত্যুর চেয়ে বড় কোনো সংকট হতে পারে না। সংকটে সঠিক নেতৃত্ব অমরত্ব পায়। যদি সিদ্ধান্ত নেবার সঠিক সময় চলে যায়। তবে ভবিষ্যৎ এর মানুষ আমাদের নিয়ে ইতিহাস লিখবে অন্যভাবে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : জাতীয় সংসদ সদস্য
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল