বিদেশফেরত নারীর সঙ্গে কথা বলে ডাক্তার অসুস্থ, অতঃপর...

বিদেশফেরত নারীর সঙ্গে কথা বলে ডাক্তার অসুস্থ, অতঃপর...

অনলাইন ডেস্ক

গাইবান্ধায় করোনা সনাক্ত হওয়া আমেরিকা প্রবাসী গৃহবধূ ও তার সন্তান যে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসা ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা সবাই হবিবুল্লাহপুর গ্রামের।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ২৪ জনসহ গাইবান্ধায় ছড়িয়ে পড়া আরও ৮৯ জন যারা বিয়ে বাড়িতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করা গেছে।

তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল কাজ শুরু করেছেন। তবে এর বাইরেও জেলার বিভিন্ন স্থানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কিছু সন্দেহভাজনদেরও তারা পরীক্ষা করবেন।

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, গত রোববার তাকে না জানিয়ে হঠাৎ এক বিদেশফেরত নারী তার কক্ষে প্রবেশ করে তার সামনের চেয়ারে বসেন। পরে তিনি তার বিদেশ থেকে আসা এবং অসুস্থতার কথা বলেন।

সেদিন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঢাকা থেকে আসা আইইডিসিআর দলের কাছে তিনি করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে নমুন দিবেন বলে জানান।

অন্যদিকে গাইবান্ধা সদর থানার পক্ষ থেকে ২০টি বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ স্টিকার লাগানো হয়েছে। সদর থানার ওসি খান মো. শাহারিয়ার জানান, ঝুঁকি বেশি থাকা বাড়িতে স্টিকার লাগানো হয়েছে এছাড়া এমন আরও ১৫০ জনকে মৌখিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। যারা গত এক মাসে বিদেশ থেকে গাইবান্ধা এসেছেন।  

সাদুল্যাপুরসহ গোটা গাইবান্ধা জেলাতেই এখন করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরিবিলি হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। হাটবাজারা, দোকানপাট, অফিস আদালতেও মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। দিনমজুরসহ রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা ড্রাইভারদের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এনজিওদের ঋণের কিস্তি নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

তবে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান, করোনার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমে যাওয়া এবং আয়ের পরিধি কমে যাওয়ায় এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)