বাবার মৃত্যুর ৩০ মিনিট পর চলে গেলেন ছেলেও

বাবার মৃত্যুর ৩০ মিনিট পর চলে গেলেন ছেলেও

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা (৯২) ও ছেলের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত লক্ষণ নিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়নি।

আজ ভোর ৬টায় মারা যান ৯২ বছরের এক ব্যক্তি।

এর ৩০ মিনিট পর মারা যান তাঁর একমাত্র ছেলে। আজ জোহরের নামাজের পর তাঁদের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলতে থাকে।

পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন।

তিনি আজ ভোর ছয়টায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুর ৩০ মিনিট পর মারা যান একমাত্র ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী জহিরুল কবীর বলেন, ‘বাবা–ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই আমি সকাল আটটার দিকে গ্রামে ছুটে যাই। পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আলামত নিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়নি। ’

স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ‘আমরা পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বাবা মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। আর ছেলে মারা গেছেন হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে। ’

তবে এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাবা মারা গেছেন শ্বাসকষ্টে। আর ছেলে মারা গেছেন জ্বরে।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে গ্রামে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনাস ইবনে মালেক ও সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন।

ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, ‘মানুষ মুখে মুখে নানা কথা রটিয়েছে। আসলে তাঁদের করোনাভাইরাসের মতো কোনো আলামত ছিল না। ’

আরএমও আনাস ইবনে মালেক বলেন, ‘পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু জানতে পেরেছি, তাতে বাবা ও ছেলের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়নি। ’

ইউএনও এ এস এম মোসা বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছেন, বাবা স্বাভাবিকভাবেই মারা গেছেন। আর বাবার মৃত্যুশোক সইতে না পেরে ছেলে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এক পরিবারের দুজন অল্প সময়ের মধ্যে মারা যাওয়ায় গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁরা সন্দেহের বশে এলাকায় নানা কথা ছড়াতে থাকেন

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর