ধূমপায়ীদের জন্য ছোট্ট তথ্য

ধূমপায়ীদের জন্য ছোট্ট তথ্য

সেরীন ফেরদৌস

করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর কালে কথাটি বলতে হবে! মোটামুটি বয়স্করাই করোনার শিকার বলে রটে গেছে চারিদিকে! কথা পুরা সত্য নয়! হরেদরে ৫০-এর কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু/ আক্রান্তের সংখ্যাও কম নয়!

সেই বিবেচনায়, ধূমপায়ীদের জন্য একটি ছোট্ট তথ্য দেওয়ার আছে! দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা ধূমপান করছেন, তাঁরা নিজেদের অজ্ঞতা বা অজান্তেই বা গাফিলতিতে নিজের ফুসফুস কম্প্রোমাইজড করে রাখছেন। হ্যাঁ, এটাই ফ্যাক্ট! অতিরিক্ত বা বহুবছরের ধূমপায়ীরা তাঁদের তরুণ বয়সে এটা টের পান না, কারণ ফুসফুসের ড্যামেজ হওয়াটা বাইরে থেকে দেখার উপায় নেই!

উপসর্গ দেখা না-দিলেও ধূমপায়ীদের ভেতরে ভেতরে ফুসফুস অকেজো হতে থাকে! নিকোটিন ও অন্যান্য আবর্জনায় ফুসফুসের ছোট ছোট বলগুলো (অ্যালভিওলাই) কালো হতে হতে একসময় অর্ধেকটাই বা অংশবিশেষ অকেজো হয়ে যায়। ফুসফুসের চমৎকার গোলাপী রংটাই নষ্ট হয়ে কালো কুচকুচে হয়ে পড়ে! দীর্ঘদিন ধরেই একটু একটু করে এটা ঘটে থাকে। তারপর বয়স বেড়ে গেলে ধীরে ধীরে উপসর্গগুলো নানাভাবে প্রকাশ পেতে থাকে!

হার্ট, কিডনি বা লিভারের মতো ফুসফুসও একদিনে দুর্বল হয় না।

লম্বা সময় লাগে। যে যত আগে ধূমপান শুরু করেছেন বা কি পরিমাণে করেন, তাঁর ফুসফুস সেই হারে দুর্বল হয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিনের ধূমপায়ীরা ধূমপান ছেড়ে দিলেও দেখা গেছে, অনেক লম্বা সময়, বছরের পর বছর লাগে ফুসফুস আবার ক্লিয়ার আপ হতে! আশার কথা, তবে হয়, ফুসফুস আগের অবস্থায় ফিরে আসে! এ দিক দিয়ে হার্টের চাইতে ফুসফুস অনেক সুবোধ অর্গান!

৪০-৫০-৬০ এমন কোনো বয়স নয় যে, ভেতরের অর্গানগুলো এমনি এমনিতেই খুব দুর্বল হয়ে থাকবে, যদি না নিজের গাফিলতিতে তা করা হয়!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: কানাডার কমিউনিটি নার্স

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল