কুমিল্লায় জ্বরে শ্রমিকের মৃত্যু, লাশ আঞ্জুমানে

কুমিল্লায় জ্বরে শ্রমিকের মৃত্যু, লাশ আঞ্জুমানে

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লায় এসে আটতে পড়া এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পওয়ায় আন্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার দাফন হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, সহিদুল ইসলাম নামে ৬২ বছর বয়সী ওই দিনমজুর স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে কুমিল্লায় আসেন। কুমিল্লায় এসে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুরে দিন মজুরের কাজ করেন।

চার দিন একটানা একটি খাল খননের কাজ করার মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় বিজয়পুরেই আটকা পড়েন। পরে তিনি আশ্রয় নেন বিজয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়। জেলা প্রশাসন থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবারের ব্যবস্থাও করে। এরই মধ্যে গত ২৯ মার্চ জ্বরে আক্রান্ত হন দিনমজুর সহিদুল ইসলাম।
চিকিৎসা সেবা পেলেও মারা যান সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে।

মৃত ব্যক্তির পরিচয়ের ব্যাপারে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আমরা মৌখিকভাবে যে ঠিকানা পেয়েছি, সেখানে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ।

পরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার দাফন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান ওসি।

ওই দিনমজুরের চিকিৎসার ব্যাপারে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মরিয়ম আক্তার জানান,
২৯ মার্চ বিজয়পুর স্কুলে আটকে পড়া ৪০ জন দিনমজুর ও শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করেন। সেদিন সহিদুল ইসলামের জ্বর ছিল না। ৩০ মার্চ আমার ঊর্ধ্বতন ডা. জাকির হোসেনের অনুরোধে সহিদুল ইসলামের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে তার ১০১ ডিগ্রি জ্বর পাই। তার কাছে প্যারাসিটামল ছিল। তা সেবন করেন। পরদিন ৩১ মার্চ জ্বর মাপলে ১০৪ ডিগ্রি পাওয়া যায়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপোজিটর দেওয়া হয়। তখন স্বাস্থ্য অফিসের পিয়ন তাকে সহায়তা করেন। সে সময় দিনমজুর সহিদুলের অবস্থা একটু ভালো ছিল। আজ দুপুরে জানলাম মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ৬৫ জন কৃষি শ্রমিক ২৭ মার্চ থেকে কুমিল্লার বিজয়পুরে আটকা পড়ে। ২৮ মার্চ থেকে ওই শ্রমিকরা জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে বিজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করে আসছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর