১২হাজার পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন আ.লীগ নেতা

১২হাজার পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন আ.লীগ নেতা

শফিকুল ইসলাম শামীম, রাজবাড়ী

কাজ নেই, কর্ম নেই। ঘরে বসে অলস সময় কাঁটাতে হচ্ছে মানুষকে। সরকারের নির্দেশে ঘরে বসে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে হচ্ছে দেশবাসীর। কিন্ত দিনমজুরদের কি ঘরে বসে থাকলে হবে।

কাজ না করলে যাদের একদিন চলে না। তারা কীভাবে দিনের পর দিন ঘরে বসে কাঁটাবে।

জেলার এমনি পরিবারগুলোর কথা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১২হাজার পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।

কাজী ইরাদত আলী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে রাজবাড়ী জেলার ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা ও কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

জেলার সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,
ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ সহযোগি সংগঠনগুলোর সার্বিক সহযোগিতায় সহযোগিতার প্যাকেটগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোঁছানোর ব্যবস্থা করছেন তিনি।

প্রথম পর্যায় সহযোগিতার প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাউল, ৫কেজি আলু, ১কেজি ডাউল, ১
কেজি লবণ, ১লিটার তেল ও ১টি সাবান। দুর্যোগের দিনগুলোতে সহযোগিতা চলমান থাকবে।


রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, খাবারের অভাবে রাজবাড়ী জেলার একটি মানুষও মারা যাবে না।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষ খুঁজে বের করছে।

সহযোগিতার জন্যে কাউকে আমাদের কাছে আসতে হবে না। আমরাই যাব সাধারণ মানুষের ঘরে’র দরজায়।

তিনি বলেন, অনেকে ক্ষুধার যন্ত্রনা থাকলেও কারো কাছে যেতে পারছেন না। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরের চার দেয়ালে মাঝে বসে সরকারের পরামর্শে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করছেন। এমন মানুষের সংখ্যা কিন্ত কম নয়। আমরা এমন মানুষ চিহ্নিত করে সহযোগিতার প্যাকেট পোঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলাবাসীর জন্যে একটি হট লাইন নম্বর চালু করেছি। যে
কোনো এলাকা থেকে কল করলে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পোঁছানো হবে।

তিনি আরো বলেন, ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনামূলক ১ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন জেলা ব্যাপী মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, কাজী ইরাদত আলীর নির্দেশে সহযোগিতার নামে কাউকে সিরিয়ালে দাঁড়াতে হবে না। যে কারণে আমরা অভাবী মানুষকে চিহ্নিত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহযোগিতা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি। তবে যদি কোনো ব্যক্তি আমাদের কাছে চলে আসে আমরা তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করছি, করব।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর