কাজ নেই, কর্ম নেই। ঘরে বসে অলস সময় কাঁটাতে হচ্ছে মানুষের। সরকারের নির্দেশে ঘরে বসে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশবাসীর। কিন্ত দিনমজুরদের কি ঘরে বসে থাকলে হবে।
কাজ না করলে যাদের একদিন চলে না। তারা কিভাবে দিনের পর দিন ঘরে বসে কাঁটাবে। জেলার এমনি পরিবারগুলোর কথা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১২ হাজার পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।কাজী ইরাদত আলী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে রাজবাড়ী জেলার ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা ও কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, খাবারের অভাবে রাজবাড়ী জেলার একটি মানুষও মারা যাবে না। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষুদার্থ মানুষ খুঁজে বের করছে। সহযোগিতার জন্যে কাউকে আমাদের কাছে আসতে হবে না। আমরাই যাব সাধারণ মানুষের ঘরে’র দরজায়।
তিনি বলেন, অনেকে ক্ষুদার যন্ত্রনা থাকলেও কারো কাছে যেতে পারছেন না। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে’র চার দেয়ালে মাঝে বসে সরকারের পরামর্শে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করছেন। এমন মানুষের সংখ্যা কিন্ত কম নয়। আমরা এমন মানুষ চিহ্নিত করে সহযোগিতার প্যাকেট পোঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলাবাসীর জন্যে একটি হট লাইন নম্বর চালু করেছি। যে কোন এলাকা থেকে কল করলে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পোঁছানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনামূলক ১লক্ষ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন জেলা ব্যাপী মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, কাজী ইরাদত আলীর নির্দেশে সহযোগিতার নামে কাউকে সিরিয়ালে দাঁড়াতে হবে না। যে কারণে আমরা অভাবী মানুষকে চিহ্নিত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহযোগিতা পৌছানোর ব্যবস্থা করছি। তবে যদি কোন ব্যক্তি আমাদের কাছে চলে আসে আমরা তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করছি, করব।
যারা সহযোগিতা পেয়েছেন এমন অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই অসময়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কাজী ইরাদত আলী। তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন পাশে থাকার জন্যে। তবে অনুরোধ করেছেন আমরা যেন বাড়ির বাহিরে না যাই।
তারা আরও বলেন, এই অসময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দুচিন্তায় ছিলাম। কারণ আমরা দিনমজুর। প্রতিদিনের আয় দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্ত কাজী ইরাদত আলী আমাদের মনে সাহস তৈরি করেছেন। আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল