১৯৩ করেও হারলো বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

১৯৩ করেও হারলো বাংলাদেশ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৯৩ রানের পাহাড় গড়েও হেরে গেল টাইগাররা। লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।  
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। পুঁজিটা বেশ বড়ই ছিল, ১৯৩ রানের।

আশা জেগেছিল টাইগার সমর্থকদের মনে। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় ১৯৪ রানের লক্ষ্যও ২০ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটা তারা জিতেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

বাংলাদেশের মতো উড়ন্ত সূচনা করে শ্রীলঙ্কাও।

দানুষ্কা গুনাথিলাকা আর কুশল মেন্ডিস উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেন ৫৪ রান। এ জুটিটা ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। অভিষিক্ত এ বাঁ-হাতি স্পিনারের বলটা মিস করে মুশফিকের বুদ্ধিদীপ্ত স্ট্যাম্পিংয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩০ রান করা গুনাথিলাকা।

তবে ব্যাটে ঝড় তোলেন কুশল মেন্ডিস। মাত্র ২৭ বলে ৫৩ রান করা এ ব্যাটসম্যানকে শেষপর্যন্ত আউট করেন আফিফ হোসেন। এরপর উপুল থারাঙ্গার ক্যাচটিও নেন অভিষিক্ত এ অলরাউন্ডার। এরপর রুবেল হোসেনের এক বাউন্স ডেলিভারিতে পুল করেন নিরোশান ডিকভেলা। ৯ বলে ১১ করা এ ব্যাটসম্যানের বাতাসে ভাসানো বলটি অনেক ওপরে উঠলেও বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে দারুণভাবে ধরে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

তবে পরের সময়টায় বাংলাদেশি বোলারদের আর পাত্তা দেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। দাসুন শানাকা আর কুশল পেরেরা মিলে ৩০ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী জুটিতে জয় নিশ্চিত করে দেন শ্রীলঙ্কার। পেরেরা করেন ১৮ বলে অপরাজিত ৩৯ রান, শানাকা ২৪ বলে ৪২।

এর আগে, সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহীমের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে ভালোই সূচনা করেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৪৯ রানে গুণাথিলাকার বলে ফিরে যান জাকির। ব্যাটে ঝড় তোলেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ৫১ রান করে জীবন মেন্ডিসের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।

একই ওভারের তৃতীয় বলে অভিষিক্ত আফিফ হোসেন কোন রান না করেই মেন্ডিসের বলে ডিকাভেলার ক্যাচে পরিণত হন। এরপর উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ এসে জুটিবদ্ধ হয়ে দলীয় সংগ্রহকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুই ভায়রা মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৩ রানের পার্টনারশীপ গড়ে তোলেন। দলীয় ১৭৩ রানে মাহমুদুল্লাহ ৩১ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করে বিদায় হন। সাব্বির ক্রিজে এসে ঝড় তোলার আগেই তাকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন পেরেরা।  

শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।  

সম্পর্কিত খবর