রংপুরে ত্রাণের দাবিতে আজও বিক্ষোভ

রংপুরে ত্রাণের দাবিতে আজও বিক্ষোভ

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া রংপুরের অসহায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষেরা খাদ্যের দাবিতে আজও নগরীর বিভিন্নস্থানে সড়ক অবরোধ করে।

এসব মানুষের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে কোনো খাদ্য সহায়তা পৌঁছেনি। পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পীরগাছার কদমতলা বাজার,উপজেলা পরিষদের সামনে, রংপুর নগরীর চারতলা মোড় ট্রাক স্ট্যান্ড সড়ক, বদরগঞ্জ রোডের মুন্সির মোড়সহ পৃথক ৫টি স্থানে খাদ্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শত শত নারী-পুরুষ।

এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়। সোমবার সকালে নগরীর বদরগঞ্জ রোডে নজিরেরহাট মুন্সির মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ত্রাণ সুবিধা বঞ্চিত শত শত নারী-পুরুষ।

বিক্ষুদ্ধদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ রোধে তারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাড়িতে আছেন। কিন্তু এই কর্মহীন সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিনযাপন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা তাদের দেওয়া হয়নি।

এদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে বেলা সাড়ে এগারোটায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ নজিরেরহাটে মুন্সির মোড়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করেন। এসময় দ্রুত সময়ের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

অন্যদিকে দুপুর ১২ টার দিকে রংপুর নগরীর পুরাতন ট্রাক স্ট্যান্ড ও চারতলা মোড় এলাকায় সড়ক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ত্রাণ সুবিধা বঞ্চিত লোকজন।

তাদের অভিযোগ, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিলেও এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেয়নি। বরং পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলে বলে এক মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছে। এতে অসহায় দিনমজুর পরিবারগুলোতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেলা সাড়ে বারটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, নগরীর দু-একটি স্থানে খাদ্যের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকার কর্মহীন মানুষেরা। পরে প্রশাসনের খাদ্য সহায়তার আশ্বাস পেয়ে তারা চলে যান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর