লকডাউনের নামে সড়কে চাঁদাবাজি

এভাবেই সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

লকডাউনের নামে সড়কে চাঁদাবাজি

অনলাইন ডেস্ক

লকডাউনের নামে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেট দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দিলে নাজেহাল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে রাস্তায় ব্যরিকেট দেওয়ার বিষয়ে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার মির্জাপুর পৌরসভার সাহাপাড়া বাবু বাজার, সাহাপাড়া-কুতুববাজার, পাকুল্যা, আজগানা, পাথরঘাটা, পেকুয়া, লতিফপুর, টাকিয়াকদমাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের নামে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাঁশের বেড়া ও গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে রেখেছে।

যারা রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়েছে তাদের মুখেও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি।

এসব রাস্তা-ঘাট দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে লোকজন চলাচল করতে গেলে তাদের বাঁধা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার অভিযোগ উঠেছে। পাকুল্যা-লাউহাটি রোড, কদিমধল্যা-মহেড়া রোড, পাথরঘাটা-পেকুয়া রোড, মির্জাপুর-ভাওড়া রোড, কুতুববাজার-ওয়ার্শি রোড, কুরনি-ফতেপুর রোডসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট যানবাহন থেকে চাঁদবাজি করছেন বলেও ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন।

আজগানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম সিকদার ও ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তারা বলেন, নিরাপত্তার অজুহাতে অতিউৎসাহী কিছু লোকজন ব্যারিকেট দিয়েছে। এতে নিরীহ লোকজনদের সেবা প্রদান করতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সমস্যা হচ্ছে। কর্মহীন ও দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যান, রিকশায় খাবারও ঠিকমত পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাস্তা-ঘাটে গাছের গুঁড়ি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে লকডাউন করার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর