দেশের একলাখ মানুষের টাকায় হলো করোনা হাসপাতাল

দেশের একলাখ মানুষের টাকায় হলো করোনা হাসপাতাল

অনলাইন ডেস্ক

মহামারি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দেশের প্রথম অস্থায়ী ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি হলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকায়। উদ্যোগের মাত্র ২৩ দিনেই এ হাসপাতালা প্রতিষ্ঠা হলো।

গত মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপের দেওয়া একটি দ্বিতল ভবনের ৬ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই হাসপাতালটি।

ইতোমধ্যে ১০টি আইসিইউ বেড ও চারটি ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে মোট ৩৫ জনের একটি দল।

চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার বড় ভাই আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ হাসপাতালে উদ্যোক্তা।

তিনি একমাস আগে হাসপাতালে নির্মাণের কথা জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসে বলেন, মাত্র এক লাখ লোক ১০০ টাকা করে দিলেই এক কোটি টাকার ফান্ড হবে; আর এ টাকায় হাসপাতাল তৈরি সম্ভব।

এরপর ব্যাপক সাড়া পড়ে। কোনো শিল্পপতির কাছে অনুদান চাওয়া হয়নি বলে জানান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। একলাখ মানুষের টাকা দিয়ে এ হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।

তবে ভবন ও জায়গা দিয়ে এর সাথে শরিক হয়েছেন নাভানা গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম। তিনি হাসপাতাল নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা। এ ফিল্ড হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে প্রায় ২৮৭ জন তরুণ আবেদন করলেও ২৫ জনকে নির্বাচিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে করোনা রোগীর যত্ন বিষয়ক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, এমন সময়ে আমরা এ হাসপাতালটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে চালু করতে যাচ্ছি, যখন সারা দেশে করোনা রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরা প্রমাণ করতে চাই করোনা রোগীরা অবহেলার পাত্র নয়। নিজেরা নিরাপদে থেকে তাদের সেবা দেওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমরা ৩৭টি বেড স্থাপন করছি। এছাড়াও থাকছে ৫টি ভেন্টিলেটর। একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি মাইক্রোবাস আছে রোগী ও চিকিৎসক পরিবহনে। ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যেই আমরা চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর