নির্দিষ্ট সময়েই করোনা চিকিৎসা শুরু হবে বসুন্ধরায় সর্ববৃহৎ অস্থায়ী হাসপাতালে

নির্দিষ্ট সময়েই করোনা চিকিৎসা শুরু হবে বসুন্ধরায় সর্ববৃহৎ অস্থায়ী হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দুই নম্বর হলে বেড বসানো হয়ে গেছে। এক্সপো জোনে এখন ফ্লোরম্যাট বসানোর কাজ চলছে। সাজানো শুরু হয়েছে রোগীর বেড, ফার্নিচার, আগে থেকে তৈরি করে রাখা ডাক্তার, নার্স ও সার্পোটিং স্টাফদের কক্ষগুলো।

এক্সপো জোন ও তিনটি হলরুমে দুই হাজার ১৩ বেডের আইসোলেশন সেন্টারের পাশাপাশি ৭১ বেডের আইসিইউ ইউনিট থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ করতে দিনে-রাতে চলছে কাজ।

আজ বৃহস্পতিবার আইসিসিবি’তে করোনা রোগীদের জন্য নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে দুটি ব্লকে ৫০০টি বেড বসানো হয়ে গেছে।

আগামীকালের ভিতরে আরো ৫০০টি বেড বসানো হবে। স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর যারা আছে তাদের সাথে আমরা কথা বলে জানতে পারলাম। গত ১২ এপ্রিল ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই আমরা হাসপাতালের কার্যক্রমে যেতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, সরকার ও বসুন্ধরা গ্রুপ একই সাথে সমন্বয় করে কাজগুলো করে যাচ্ছি। আমরা সন্তুষ্ট যে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। দেড়শ পাকা টয়লেট তৈরি করা কিন্তু অনেক কঠিন কাজ, আমাদের এ ট্রেন্ডটা ছিল বলেই বসুন্ধরা গ্রুপ এটা দিতে পারছে। আগামী ২৭-২৮ তারিখের মধ্যে রোগী সেবার জন্য এটা প্রস্তুত থাকবে বলে আশা করি। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে যেটা জেনেছি তাদের সিদ্ধান্ত হলো যে হাসপাতালের শতভাগ কাজ সম্পূর্ণ কাজ হলে সেবার জন্য খোলা যাবে। আমরা বলতে পারি আমাদের যে প্রস্তুতি এটা একেবারে দ্বারপ্রান্তে, সকল সরঞ্জাম এখানে চলে আচ্ছে এখন শুধু এগুলোকে স্থাপন করা হবে।

গত ১২ এপ্রিল থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অস্থায়ী হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৫ দিনের মধ্যেই আইসিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ হিসেবে আগামী ২৭ এপ্রিলের আগেই হাসপাতালের সবকাজ সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করার কথা। দিন-রাত কাজ হচ্ছে।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে দেশের এই ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরা। এর পর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরিদর্শন করে। পরে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো জোন, দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর