সরকারি খরচে ধান কাটতে দক্ষিণাঞ্চলের পথে লালমনিরহাটের শ্রমিকরা

সরকারি খরচে ধান কাটতে দক্ষিণাঞ্চলের পথে লালমনিরহাটের শ্রমিকরা

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর:

লালমনিরহাট জেলা থেকে প্রথম ধাপে ৪২ জন ধান কাটার শ্রমিক দক্ষিণাঞ্চল ও হাওরে ধান কাটতে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ অঞ্চলের অধিকাংশ শ্রমজীবি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটার কাজে গেলেও এবার করোনা ভাইরাসে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে সরকারিভাবে গাজীপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন এই ৪২ কৃষি শ্রমিক।

করোনা ভাইরাসের কোথাও কাজ না পেয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিস্তাচরসহ বেশিরভাগ শ্রমিক।

তাই এবার প্রশাসনের উদ্যোগে তালিকা তৈরি করে শ্রমিকদের কাজে পাঠানোর  উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসক। এ সময় শ্রমিকদের হাতে হাতে কৃষি বিভাগের প্রত্যয়নপত্র, উন্নতমানের ফেস মাস্ক, খাবার, জীবাণুনাশক স্প্রে, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিভিন্ন উপকরণ তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে সরকারি বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণে কেউ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারছেন না। এতে করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আগাম বোরো ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেখানকার চাষিরা।

এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ধান কাটার শ্রমিকদের তালিকা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে ৪২ জন ধান কাটার শ্রমিককে গাজীপুর ও দক্ষিণ অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। তাদের যাওয়া-আসার সব খরচ জেলা প্রশাসন বহন করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মুর্শিদ হকসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্রিফ করা হয় শ্রমিকদের।

কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামের আনারুল হক বলেন, এই ভাইরাসে কাজ কাম না থাকায় পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছি। উপায় না পেয়ে ধান কাটার নাম দিয়েছি। তাই ধান কাটতে কুমিল্লাহ যাচ্ছি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, এরই মধ্যে ১৫শত ধানকাটা শ্রমিকের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিনা খরচে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ধান কাটতে পাঠানো হবে।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল