যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ফিরছেন

যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ফিরছেন

অনলাইন ডেস্ক

করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নিচ্ছে ঢাকা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দুই শতাধিক বাংলাদেশি যোগাযোগ করেছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে যাত্রী অনুযায়ী একটি ফ্লাইট চার্টারের।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেলকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের তালিকা করতে বলেন।

 

এসব বাংলাদেশির তালিকা প্রসঙ্গে ২২ এপ্রিল বুধবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ এ সংবাদদাতাকে জানান, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন ভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী, চিকিৎসা নিতে আসা ব্যবসায়ী, সরকারী উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও যোগাযোগ করছেন। সকলেই চার্টার করা বিমানের ভাড়া হিস্যা অনুযায়ী দেবেন। আজ পর্যন্ত ২০০ জনের মত নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশে ফেরার জন্যে।  
উল্লেখ্য, আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নাজুক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে দিয়েছিলেন নিউইয়র্কের খ্যাতনামা এটর্নি মঈন চৌধুরী।

তার সাথে অনেকে যোগাযোগ করেছেন দেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে।  

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের সাথে নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে  তিনি এ সংবাদদাতাকে জানান, ‘নিজেদের টাকায়ই তারা ঢাকায় আসবেন। আমরা শুধু সমন্বয়ের কাজ করছি। বাংলাদেশ থেকে মার্কিন নাগরিকেরাও চার্টার করা বিমানের ভাড়া হিস্যা অনুযায়ী পরিশোধ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন। ’

এ যাবত চীন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, নেপাল, তুরষ্ক ও মালয়েশিয়াসহ বেশ কটি দেশ থেকে  চার্টার ফ্লাইটে বেশ কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে আনা হয়েছে। এখনও সে প্রক্রিয়া চালু রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘তবে দেশে ফেরার পর সকলকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে, এটি বাধ্যতামূলক। যারা তা মানতে চান না তাদেরকে জরিমানার বিধান রয়েছে’ উল্লেখ করেন ড. মোমেন।  

তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এসব বাংলাদেশিদের বিমানে উঠার আগেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের কোর্স সম্পন্ন করছে। বিমানে ঢাকায় অবতরণের পর ঐসব যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। যারা অসুস্থ বলে প্রতিয়মান হয় কেবলমাত্র তাদেরকে চিকিৎসার প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় অথবা পুনরায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।  

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, ঢাকায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাংলাদেশের জেলা পর্যায়েও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ, অনেক প্রবাসীই নিজ বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনের রীতি ফলো করতে চান না।  

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল