৫০০ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিন: বাংলাদেশকে জাতিসংঘ ও এইচআরডব্লিউ

৫০০ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিন: বাংলাদেশকে জাতিসংঘ ও এইচআরডব্লিউ

অনলাইন ডেস্ক

জাতিসংঘের পর এবার নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) আজ (শনিবার) এক বিবৃতিতে সাগরে ভাসা পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে। মানব পাচারকারীদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে ওই রোহিঙ্গারা বেশ কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ার পথে দুটি ট্রলারে যাত্রা করে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এদের দেশটিতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে তারা সাগরে ভাসছে।

সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ বলেছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ট্রলার দুটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানি নেই।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে অনেক বড় বোঝা কাঁধে নিতে হয়েছে। কিন্তু শরণার্থী বোঝায় ট্রলারকে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সাগরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো অজুহাত নেই।

এর আগে, ভাসমান বিভিন্ন বয়সের পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে দ্রুত বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে বলছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতে গতকাল (শুক্রবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা চিঠিতে এ আহ্বান জানান।

মিশেল বাশলেতে লিখেছেন, কয়েকটি ট্রলারে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-শিশু-পুরুষ এখন সাগরে ভাসছে। বেশ কিছুদিন ধরে সাগরে ভাসা এসব রোহিঙ্গাকে জরুরি ভিত্তিতে খাবার, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আশ্রয় দেওয়া প্রয়োজন।

রমজানের শুরুতে মানবিক বিপর্যয় রোধের স্বার্থে তিনি মন্ত্রীকে বাংলাদেশের বন্দর খুলে দিয়ে সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অবারিতভাবে আশ্রয় দিয়ে গর্ব করার মতো একটা অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান তিনি।

অবশ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুটি নৌকায় প্রায় পাঁচ শ রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর ও আন্দামানে ভাসছে। মালয়েশিয়া সরকার তাদের নেয়নি। ফলে এখন তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এদের গ্রহণ করার কোনো দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের নেই। তাঁর মতে, তাদের সাহায্যের জন্য অন্য দেশও এগিয়ে আসতে পারে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ অঞ্চলে অনেক দেশ আছে, শুধু বাংলাদেশের কাছে এদের নেওয়ার অনুরোধ আসে কেন?

আব্দুল মোমেন বলেন, সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জলসীমায় নেই। গভীর সমুদ্রে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে চার শতাধিক রোহিঙ্গা নৌকা করে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরলে বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর