‘ধর্ষণ চেষ্টার’ দেড় বছর পর পুত্রবধূকে অস্ত্রের মুখে ‘ধর্ষণ’

‘ধর্ষণ চেষ্টার’ দেড় বছর পর পুত্রবধূকে অস্ত্রের মুখে ‘ধর্ষণ’

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

নাটোরের সিংড়ায় পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল হামিদ (৫৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী সিংড়া থানায় তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আব্দুল হামিদ উপজেলার বিয়াশ চকপাড়া গ্রামের মৃত চাঁন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে ওই নারীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আব্দুল হামিদের ছেলে আতিকুল ইসলামের। বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আব্দুল হামিদ। দেড় বছর আগে পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল হামিদের ছেলে আতিকুল তার স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।

তাঁদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে আব্দুল হামিদ তাঁদেরকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গত ১০ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে ধারাল অস্ত্র গলায় ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে। চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে পালিয়ে যায় সে।

এদিকে বিচারের জন্য থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে গ্রাম্য মাতবররা তাকে নিষেধ করে। তারা বলেছে গ্রাম্য শালিসে বিচার করা হবে। কিন্তু ১৫ দিন পার হলেও কোনো বিচার না পেয়ে শনিবার থানায় অভিযোগ দেয় ভূক্তভোগী নারী।

শালিস না হওয়ার সুযোগে গ্রাম থেকে উধাও আব্দুল হামিদ। ভূক্তভোগী নারী গ্রাম্য মাতবরদের ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে আসতে পারেনি। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে এলাকায় গেলে ভূক্তভোগী ও তার স্বজনরা সংবাদকর্মীদের বিস্তারিত বলেন এবং থানায় এসে অভিযোগ করেন।

ভূক্তভোগী নারী জানান, আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আ. রাজ্জাক ফকির ও রবিউল নামের দুজন মাতবর আমাকে বিচার করে দেবে বলে টালবাহানা করছে এবং আমাকে থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করেছে।

আফাজ উদ্দিন, আকরাম হোসেন, বুদ্দু প্রাং, আলিফ নামের প্রতিবেশীরা জানান, এটি চরম জঘন্য কাজ। আমরা এ কাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার চাই।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রাম্য মাতবর আ. রাজ্জাক ফকির বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়, এই বিচার গ্রামে করা সম্ভব নয়, আমরা তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ করতে নিষেধ করা হয়নি। আমরাও চাই এর সঠিক বিচার হোক।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর