মাদারীপুরে তারাবি পড়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

মাদারীপুরে তারাবি পড়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

মাদারীপুরের শিবচরে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়া ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরকামারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরকামারকান্দি গ্রামের সিদ্দিক মাষ্টার ও হযরত মাদবর বংশের সাথে ফকির বংশের লোকজনের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

রোববার সন্ধ্যার দিকে মাদবর বাড়ির লোকজন তাদের বাড়ির সামনের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নবনির্মিত ওই মসজিদের কমিটি নিয়ে পাশের বাড়ির ফকির বংশের লোকদের সাথে বিরোধ ছিল। করোনার ভাইরাস আতঙ্কে তারাবি নামাজের জন্য সরকারের নির্ধারিত মুসল্লি নিয়ে ওই মসজিদে নামাজের ব্যবস্থা করা হলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রতিপক্ষের লোকজন আপত্তি জানায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
এসময় সিদ্দিক মাষ্টার, হরযত মাদবর, মোসলেম মাদবর, মোকসেদ মাদবর, বিল্লাল মাদবর, জাকির হোসেন মাদবর, হাবিব মাদবর, রিপন মাদবর ,
মিজান মাদবর, জামাল ফকির, ইব্রাহীম, সামসু ফকির, মজিবর ফকির, মান্নান ফকির, রবিউল মোল্লা, রফিকুল মোল্লাা, শরিফুল মাদবরসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া শরিফুল নামে গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, আহত আটজনকে হাতপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শরিফুল নামে গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কথা মাগরিবের নামাজের সময় শুনে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পূর্ব শত্রুতা ও নামাজ পড়ার নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি।
 
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)