কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাঁধ ভেঙে নিখোঁজ ২

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাঁধ ভেঙে নিখোঁজ ২

নিউজ ২৪ ডেস্ক

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।  সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারের পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারের পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া তিস্তাসহ অন্যান্য ১৩টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, তীব্র শ্রোতের সদরের আরডিআরএস বাজারে ৩০ মিটার ও ফুলবাড়ী উপজেলার গোড়কমন্ডলে ১৫ মিটার বাঁধ ভেঙে নতুন করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ সব এলাকার মানুষজন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি ওঠায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

রাজারজাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ারচরে বাঁধ ভেঙে এক নারী ও এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক তলিয়ে যাওয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলাসহ সোনাহাট স্থলবন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

জেলার রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী ও সদর উপজেলার ৫৪ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। তলিয়ে গেছে ২৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা কবলিত মানুষ।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৭ লাখ টাকা ও আড়াইশ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর