গণপবিরবহন বন্ধ। সারাদেশে রয়েছে সাডডাউন-লকডাউন। সাডডাউন-লকডাউন অপেক্ষা করে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ঢাকামুখি মানুষের জনস্রোত দেখা যায়। এ সময় পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে পারাপার হচ্ছে প্রাইভেটকার ও মাক্রোবাস।
শুক্রবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ঢাকামুখি যাত্রীদের ভির দেখা যায়। এ সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা তো দুরের কথা। গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ছোট বড় ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে ২টি রোরো (বড়) ও ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি চলাচল করছে। তবে রাতে পণ্যবাহী ট্রাক বেশি আসার ফেরি’র সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়।
যাত্রী পারাপার করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ফেরি চলাচল করলে যাত্রী পারাপার হবেই। কারণ যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রন করেন ঘাট ইজারাদার। যাত্রী পারাপার বন্ধ করতে হলে ফেরি সম্পন্ন বন্ধ রাখতে হবে।
ঢাকামুখি একাধিক যাত্রী বলেন, কর্মে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। আবার মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব। চাকরি বাঁচাতে হলেও কষ্ট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেদিন যাবে সেটাই অপরাধ।
দিলারা নামের এক নারী বলেন, পরিবার পরিজন বাঁচাতে হলে চাকরি করতে হবে। যে কারণে জীবনের ঝুঁকি জেনেও ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এদিকে ঢাকা থেকে ম্যানেজার বার বার মোবাইল করছে। না গেলে চাকরি থাকবে না।
দৌলতদিয়া নৌপলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মুন্নাফ জানান, আমাদের নির্দেশনা আছে গার্মেন্স কর্মীদের ঢাকায় যেতে বাধা দেওয়া যাবে না। এই সুযোগে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঢাকায় যাচ্ছে। সুতরাং দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রীদের ভির রয়েছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল
