শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
দশটি ঘর-বাড়ি কুপিয়ে ভাঙচুর

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে চরগাজিপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দশটি বাড়িঘর কুপিয়ে ভাঙচুর সহ ৩০ জন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ঐ এলাকার প্রভাবশালী শাহআলম মাদবর, হিরু মাদবর, গনি চোকদার এদের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোকের একটি সন্ত্রাসী বাহীনি রামদা, কোচ, টেডা ও লাঠিশোটা নিয়ে নিরিহ কৃষক, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি ঘরে হামলা চালায়।

এতে দশটি বাড়িঘর কুপিয়ে পিটিয়ে ভাঙচুর করে নগদ অর্থসহ ঘরের জিনিশপত্র লুট করে নেয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য, নারী- শিশুসহ ৩০ জনকে গুরুতর জখম করে আহত করে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে আসলে সেখানেও হামলার স্বীকার হয়।

পরে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ কম্পেলেক্সে তাদের ভর্তি করানো হয়।

হামলার স্বীকার সিজিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী, ভাশুর, দেবররা জীবনভর আওয়ামী লীগ করে আসছে, আজকে যারা কোনোদিন আওয়ামী লীগ করে নাই, তারা এই দলে যোগ দিয়া আমাদের উপর হামলা করেছে, তাদের অত্যাচারে আমরা ঘরে থাকতে পারি না।

ভুক্তভোগী আল ইসলাম মিয়া বলেন, শাহ আলম মাদবর, গনি চোকদার, হিরু মাদবর এরা সবসময়ই বিএনপি করেছে আজ তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়া আমাদের কোপায়, বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, আমরা এর বিচার চাই।

হামলার স্বীকার মো. সোহাগ বলেন, আমি রোজা রেখেছি, মারামারি করার ইচ্ছা ছিল না।

হঠাৎ আমাদের বাড়ি ঘরে প্রায় দুইশোরও বেশি লোক অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার বাবা-মা তারাও রোজা রেখেছেন, তাদেরকে গুরুতর জখম করে আহত করেছে। শাহ আলম মাদবর নিজেদের বংশের মধ্যে বিরোধ। ওরা চায় আমরা ওদের দলে থেকে মারামারি করি, কিন্তু আমরা ওদের সাথে নেই, তাই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয় নং ওয়ার্ডের সদস্য আত্তাজুল মাদবর বলেন, আমি সাবেক এমপির মোজাম্মেলের দল করেছি তাই আামার উপর প্রতিপক্ষ হামলা করেছে, আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমরা এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল