করোনা: যুক্তরাজ্যের ব্যর্থতা নিয়ে ৩ প্রশ্ন

করোনা: যুক্তরাজ্যের ব্যর্থতা নিয়ে ৩ প্রশ্ন

আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য

ইউরোপের যে কয়টি দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য৷ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৪ জন এবং মারা গেছেন ২৭,৫১০ জন৷ এমনকি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের ব্যর্থতা নিয়ে মূলত তিনটি প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

আক্রান্ত হওয়ার পর সেলফ আইলোশনে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস এক ভিডিওবার্তায় ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষা করার আশ্বাস দেন।

ব্রিটিশ সরকার জানায়, এপ্রিলের মধ্যেই প্রতিদিন ১ লাখ করোনা পরীক্ষা করা হবে। গত ২৮ এপ্রিল দেশটিতে মোট পরীক্ষা হয়েছে ৫২ হাজার ৪২৯। অবশ্য, শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসে হেলথ সেক্রেটারি দাবি করেছেন, দিনে ১ লাখ টেস্টিংয়ের টার্গেট সরকার অর্জন করেছে। যদিও বিরোধী লেবার পার্টি বলছে এই সংখ্যাটি বিভ্রান্তিকর।

ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, শুক্রবার যুক্তরাজ্যে দিনে ১ লাখ ২২ হাজার লোকের পরীক্ষা করা হয়েছে, অথচ দুই দিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের কিছু ওপরে। তাই বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) কর্মীদের করোনা পরীক্ষার পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রিটিশ সরকার।

করোনা প্রার্দুভাবের শুরুতে এনএইচএস কর্মীসহ প্রতিটি আক্রান্তের সংস্পর্শে আসাদের খুঁজে বের করে তাদেরকে নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে আসছিলেন স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। কেন এই নিয়মটি পরে বন্ধ করা হলো এই প্রশ্নের কোনো সুস্পষ্ট উত্তর এখনো দিতে পারেনি ব্রিটিশ সরকার। করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের সমালোচনায় বারবার তিনটি প্রশ্ন উঠে এসেছে।

সরকারের কি টেস্টিং কিট ফুরিয়ে গিয়েছিল?

অতিরিক্ত চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে কি আগের ব্যবস্থাটি তাল মেলাতে পারছিল না?

এটা কি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের যে এককেন্দ্রিক কাঠামো রয়েছে তা মেনে চলার জন্য করা হয়েছে?

রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিনের কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল স্ক্যালি বলেন, পরীক্ষা সীমিত করার কারণে ভাইরাসটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যদি পরীক্ষা করার সক্ষমতা না থাকে তাহলে মহামারি কোন পর্যায়ে আছে তা বোঝার উপায় থাকে না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর