করোনা উপসর্গ নিয়ে আরেক সাংবাদিকের মৃত্যু

করোনা উপসর্গ নিয়ে আরেক সাংবাদিকের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

মারা গেলেন সময়ের আলো পত্রিকার আরেক সাংবাদিক মাহমুদুল হাকিম অপু। তিনি পত্রিকাটির সিনিয়র সাব-এডিটর ছিলেন। গতকাল বুধবার সাহিরর সময় পরিবারের লোকজন তাঁকে জাগাতে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি কয়েক দিন থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

মৃত্যুর পর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এক বিবৃতিতে জানায়, অপুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়া গেলেও করোনাভাইরাসের উপসর্গ তথা জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে তিনি মারা গেছেন বলে পরিবারের তরফ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ‘আমাদের গণমাধ্যম, আমাদের অধিকার’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপের সংগৃহীত তথ্যানুসারে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬৩ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  

গত ২৮ এপ্রিল সময়ের আলো পত্রিকার নগর সম্পাদক ও চিফ রিপোর্টার হুমায়ুন কবির খোকন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

মৃত্যুর পর তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ ছাড়া খোকনের স্ত্রী ও ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে সময় টিভির অনলাইন সংবাদে বলা হয়েছে, সময়ের আলো পত্রিকার আরো ছয় কর্মী করোনা পজিটিভ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মাহমুদুল হাকিম অপু মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক খেলাধুলার সংবাদ সম্পাদনায় তিনি ছিলেন পারদর্শী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন। মুক্তকণ্ঠ, আমার দেশ, সকালের খবরে বেশ সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। সর্বশেষ ছিলেন সময়ের আলোতে। অপু বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজে) জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন। বিএসজে অপুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

সাংবাদিক অপুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা বলেন, ‘কিছুদিন আগে দৈনিক সময়ের আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর পর আমরা আশা করছিলাম সময়ের আলো কর্তৃপক্ষ আরো দায়িত্বশীল আচরণ করবে। প্রতিষ্ঠানটির সকল সাংবাদিক ও কমর্চারীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কার্যত সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাসা থেকে সাংবাদিকদের কাজ করার দায়সারা একখানা নোটিশ দিয়ে কর্তৃপক্ষ কার্যত দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। ’ 

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল