করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মিত হাসপাতালটি উদ্বোধনে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই হিসেবে আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের দুর্যোগের সময় দ্রুততার সঙ্গে নির্মিত বৃহত্তম এ হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। উল্লেখ্য, কভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে তত দিন বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
বসুন্ধরার কাছ থেকে আইসিসিবি'র সকল স্থাপনা বুঝে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিতে গত ১২ এপ্রিল কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (এইচইডি)।আজ বৃহস্পতিবার এইচইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের অবকাঠামোগত কাজ আমরা শতভাগ শেষ করে ফেলেছি। এখানে পরিচালক, সহকারি পরিচালক নিয়োগ হয়েছে। এখন উনাদেরকে হাতে হাতে সবকিছু বুঝিয়ে দেব।
উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, মন্ত্রী মহোদয় ৯ মে (শনিবার) দুপুর ১২টায় উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। কে উদ্বোধন করবেন সেটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে তিনি ঠিক করবেন।
আইসিসিবি’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন আজ বিকেলে বলেন, ৯ মে উদ্বোধনের কথা মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এখনো চিঠি পাইনি। এর আগে ৪মে উদ্বোধনের একটা তারিখ পেয়েছিলাম। তবে সেটা হয়নি। তাই চিঠি না পেয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা হিসাব-নিকাশ শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।