করোনার প্রতিষেধক উৎপাদনে ব্রিটেনের যৌথ উদ্যোগ

করোনার প্রতিষেধক উৎপাদনে ব্রিটেনের যৌথ উদ্যোগ

যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি

ব্রিটেন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে দ্রুত করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে বায়োটেক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়টির জ়েনার ইনস্টিটিউট মানবদেহে করোনার প্রতিষেধকের পরীক্ষা শুরু করেছে। পরীক্ষা সফল হলে দ্রুতই তা সরবরাহ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

ব্রিটিশ বাণিজ্য সচিব অলোক শর্মা জানান, প্রতিষেধকের দ্রুত উৎপাদনের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ প্রয়াস গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাসকাল সরিয়ট বলেছেন, প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতা বিশ্ব মানের।

আশা করি, তাদের সঙ্গে মিলে আমরা এই প্রজন্মের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্রটি গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।

জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের শর্তগুলো ঠিক হবে। তবে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা তার জেনার ইনস্টিটিউট, কোভিড-১৯ মহামারী চলার সময়ে প্রতিষেধকের পেটেন্ট বাবদ কোনো রয়্যালটি নেবে না।

পরে যা পাওয়া যাবে, তাও কোভিড-১৯ মোকাবেলা বা আগামী দিনের কোনো মারাত্মক রোগ মোকাবেলার গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।

আর অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা সেই প্রতিষেধক উৎপাদন করে ব্রিটেনের পাশাপাশি বিশ্বের নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে পৌঁছে দেবে। অলাভজনক নীতিতে চলবে গোটা উদ্যোগ। অর্থাৎ প্রতিষেধক তৈরি ও সরবরাহের খরচই শুধু ধরা হবে দামে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যলয়ের ভিসি লুইস রিচার্ডসন বলেন, গোটা দেশের সঙ্গে আমরাও জ়েনার ইনস্টিটিউটের সাফল্য কামনা করছি। তারা সফল হলে ব্রিটিশদের শুধু নয়, গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে দ্রুত প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর