ধর্ষণের পর চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে তরুণীকে হত্যা

ধর্ষণের পর চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে তরুণীকে হত্যা

হত্যার রহস্য উদঘাটন

চট্টগ্রাম থেকে পেকুয়া, সেখান থেকে চকরিয়া হয়ে ফের উল্টো যাত্রাকালে কয়েক দফা ধর্ষণ, পরে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে তরুণীকে গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দিলে দেয়া হয়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর গাড়ির ধাক্কায় মারা যায় খরুলিয়ার অষ্টাদশী এক তরুণী।   

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে চকরিয়ায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-১৫।

শুক্রবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইন কমান্ডার আজিম আহমেদ।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা ওই তরুণী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে এক সিএনজিচালক তাকে চকরিয়ায় আনে। কিন্তু সেখান থেকে নিজ বাড়ি কক্সবাজারের খরুলিয়ার দিকে না গিয়ে ফের পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়।

পথিমধ্যে একটি ব্রিজের পাশে তাকে দুই সিএনজিচালক মিলে ধর্ষণ করেন। এরপর তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, ঘাতকরা এতো নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িটির সামনে ফেলে দেয় তারা। ফলে ওই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় চম্পার। এ ঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজিচালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

উল্লখ্যে, গত ৬ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এমনকি বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে নিহত চম্পার বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে ফুফি, ফুফা ও ফুফাতো ভাইকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়। অবশেষে আসল ঘটনা উদঘাটন করলো র‌্যাব-১৫।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল