করোনা ঝুঁকিতে থাকা রংপুরে কেনাকাটার ধুম

করোনা ঝুঁকিতে থাকা রংপুরে কেনাকাটার ধুম

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

রংপুরে অধিকাংশ মানুষই সামাজিক দূরত্ব মানছে না। প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতার তোয়াক্কা না করে ফ্রি স্টাইলে চলছে কেনাবেচা। অসচেতন নারী-পুরুষ স্বাভাবিক সময়ের মতোই বাজার সদাই করছেন।

অনেকে আবার শিশু সন্তানকেও নিয়ে এসেছেন শপিং করতে।

সেই সাথে অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধিতে রংপুর নগরীর আবারো যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। অথচ রংপুর নগরী রয়েছে মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে।

রংপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত নতুন ছয় জনসহ রংপুর জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৩৪ জন। এর মধ্যে রংপুর নগরীতেই আক্রান্ত হয়েছে ১১০ জনের বেশি।

আক্রান্তদের বেশিরভাগই চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে আছেন। আর ২৮ জনকে রংপুরে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন
সুস্থ হয়েছেন। গত ৮ এপ্রিল রংপুরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এসপি, ওসি, ডাক্তার, নার্সই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এর বাইরের পেশার মানুষ ভাবছে তাদের করোনা হবে না। সকাল থেকেই প্রতিটি দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অস্বাভাবিক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

রংপুর নগরীতে বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে প্রায় ৫০টি। এছাড়া ছোট-বড় মিলিয়ে মহানগরীতে দোকান রয়েছে ৪০ হাজারের ওপর। গত দুুই দিনে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের একটি মহল দাবি করেছে।

সচেতন নগরবাসী মনে করছেন, রংপুর নগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে জনগণের সচেনতার অভাব।

সামাজিক দূরত্ব না মানায় শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। কেনাকাটা করতে মানুষ যে হারে বাজারে আসছে তা সত্যিই বিপদজ্জনক।

রংপুর জেলা প্রশাসক অসিব আহসান বলেন, জেলা প্রশাসনের একাধিক মনিটরিং টিম ব্যবসায়ীদের পর্যবেক্ষণ করছেন। সরকারের বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা, হিরন্ব কুমার রায় বলেন, রংপুর শহর মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। সামাজিক দূরুত্বসহ অন্যান্য নিয়ম-কানুন মেনে না চললে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর