রাঙামাটির ৪ করোনা রোগী নিয়ে বির্তক

রাঙামাটির ৪ করোনা রোগী নিয়ে বির্তক

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটির চার করোনা রোগী নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বির্তক। আসলে তারা করোনা রোগী কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। চলছে আলোচনা পর্যালোচনা। বার বার করোনা পরীক্ষার কাটগড়ে দাঁড় করানো হচ্ছে তাদের।

এতে নানা উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে পাহাড়ের মানুষের মধ্যে। একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে করোনা পরীক্ষার নিয়েও।

অভিযোগ রয়েছে, বিলম্ব করে নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট দেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। তাতেই সঠিক তথ্য পাচ্ছে না রোগীরা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভাসু ৩৯ ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ড. জুনায়েদ ছিদ্দিকী বলেন, সিভাসু রাঙামাটির নমুনা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু পরীক্ষা চট্টগ্রামে
ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) করা হয়। তারা রিপোর্ট দেওয়ার পর আমরা স্বাক্ষর করে দিয়ে দিই। যার কারণে রাঙামাটির করোনা রোগীর রিপোর্টের বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, একজন করোনা রোগীর মধ্যে ১৪দিন পর্যন্ত পজিটিভ থাকতে পারে। আবার অনেকের থাকে না।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভাসুর থেকে রাঙামাটির চারজন রোগীর করোনা প্রজিটিভ রিপোর্ট দেওয়া
হয় গত ৬মে। তাও আবার প্রজিটিভ। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিন্তু যাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রয়েছে বলে সিভাসু দাবি করেছে। তাদের মধ্যে আসলে করোনার কোনো লক্ষণ আমরা লক্ষ করিনি। তাই তাদের নমুনা আবারও চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ৫দিনের মাথায় তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো সংক্রমণ নেই বলে রিপোর্ট দেয় তারা। চারজনের মধ্যে রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকার ৯ মাসের এক শিশু, দেবাশীষ নগরের ১৯ বছরের এক তরুণ হাসপাতাল এলাকার মোল্লাপাড়ায় ৩৮ বছর বয়সী নারী ও ৫০ বছর বয়সী এক শ্রমিক রয়েছে। তবে তাদের তৃতীয় দফায় আবারো নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছে। আর তৃতীয় দফার রির্পোট না আসা পর্যন্ত আমরা তাদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা দিতে পারব না।

এদিকে রাঙামাটি জেলায় ২হাজার ১৪১ জনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রাঙামাটিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১ হাজার ৪৭১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে রয়েছে ৬৭০।

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজেজেজে (বিআইটিআইডি) ৪৬১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাঙামাটির জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৩০১ জনের নমুনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ১৬০ জনের নমুনার রিপোর্ট এখনো আসেনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর