তরুণীকে রুমে আটকে পালালেন ডাক্তার প্রেমিক, অতঃপর...

তরুণীকে রুমে আটকে পালালেন ডাক্তার প্রেমিক, অতঃপর...

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক তরুণী।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় কোতয়ালী থানায় বাদী হয়ে ওই তরুণী মামলা দায়ের করেছেন।

ধর্ষণের অভিযুক্ত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই চিকিৎসক হলেন- পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রেমবাজার এলাকার মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে ডা. নরদেব রায়। এজাহারকারী ওই তরুণীর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাশিডাঙ্গা গ্রামে।

মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নরদেব রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই
চিকিৎসক একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের করার কথা বললে আজকাল করতে কালক্ষেপণ করে।

এজাহারে ওই তরুণী বলেন, সর্বশেষ গত রোববার (১০ মে) ডা. নরদেব রায় মোবাইল ফোনে কল করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের আবাসিক এলাকার একটি কোয়ার্টারের চতুর্থ তলায় আসতে বলে।

সরকারি কোয়ার্টারে দুপুর দুটার সময় আমি ডা. নরদেব রায়ের কাছে যাই। সেখানে গিয়ে আমি কিছুটা সময় কাটানোর পর ডা. নরদেব রায়কে বিয়ের কথা বললে তিনি আমাকে বিভিন্ন কারণে বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে আমাকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোয়ার্টারের রুম থেকে বের করে দিতে চাইলে আমি বের হইনি। পরে ডা. নরদেব রায় আমাকে কিল ঘুষি মেরে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘর থেকে বের না হতে চাইলে তিনি নিজেই ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। উপায় না পেয়ে আমি সরকারি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহযোগিতা চাই। পরে পুলিশ এসে রাতেই আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ’

ধর্ষণের বিষয়টি জানার জন্য ডা. নরদেব রায়কে ফোন করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই চিকিৎসকের বড় ভাই পঞ্চগড় মহিলা কলেজের প্রভাষক জয়দেব বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একটা সাজানো ফাঁদ। আমার ভাই একটা চক্রান্তের মধ্যে পড়ছে। ধর্ষণের বিষয়টি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। ওই মেয়ের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ’

এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন। মেয়েটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)