বিএসএমএমইউকে ২০০ কিট ও ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

বিএসএমএমইউকে ২০০ কিট ও ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিজেদের উদ্ভাবিত ২০০ করোনা ভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিট এবং নমুনা পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

আজ (বুধবার) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সমন্বয়ক ড. মহিবুল্লাহ খন্দকার বিএসএমএমইউতে গিয়ে কিট জমা দেন। প্রথম দফায় ২০০ কিট পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে। পরে আরো ২০০ কিট দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ গতকাল আমাদের চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দিতে বলেছে। গতকাল দুপুরে সেই চিঠি আসায় আমরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে কিট দিতে পারিনি। তবে আজ সকাল নয়টা থেকেই আমরা কাজ শুরু করি।

সকাল ১১টার দিকে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়াসহ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কিট পৌঁছে দিয়েছি। ’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এতদিন পর তারা (বিএসএমএমইউ) কিট নিয়েছে, আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এখন তারা পরীক্ষার কাজটি শুরু করলেই হয়। ’

তিনি বলেন, ‘করোনা তো আমার একার সমস্যা না। এটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে। এই গুরুত্বটি বুঝতে হবে। ব্যাপক হারে পরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই করোনা জয় সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আমাদের কিট দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে। এটুকুই বলতে পারি আমি। ’

গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার অনুরোধ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপর ২ মে বিএসএমএমইউ'র ভিসির সাথে বৈঠক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দল। ওই বৈঠকে কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

বিএসএমএমইউ'র বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। এর পরদিনই গণস্বাস্থ্যকে বিএসএমএমইউ থেকে চিঠি পাঠানো হয়।

বিশ্বমহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর পরই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে একদল গবেষক কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। গবেষক দলের অন্যরা হলেন- ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. নিহাদ আদনান, ড. মো. রাইদ জমিরুদ্দিন ও ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এই পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর