মৃত্যুর গুজবে এটিএম শামসুজ্জামান বললেন, ‘মরিনি এখনো’

মৃত্যুর গুজবে এটিএম শামসুজ্জামান বললেন, ‘মরিনি এখনো’

অনলাইন ডেস্ক

ছড়িয়ে পড়া নিজের মৃত্যুর গুজব সম্পর্কে জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘মরিনি এখনো। এর আগেও ১০–১২ বার আমার মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছে। কেন যে এ রকম করে বুঝি না। আমার সঙ্গে কিসের শক্রতা, বুঝি না।

আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুন।

মারা গেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। এমন খবরে ফেসবুক সয়লাব হয়ে যায় শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে।

এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান বলেন, তার স্বামী এই করোনার দিনগুলোতেও বেশ ভালো আছেন।

গুজবের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক ব্যাপার। লোকজন একজন গুণি মানুষের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ান দুদিন পরপর। কোনো রকম তথ্য নিশ্চিত না হয়ে এ ধরনের খবর ছড়ানো অন্যায়। তিনি ভালো আছেন। ইবাদাত বন্দেগী করে কাটছে তার দিন।

রুনি জামান বলেন, এটা সত্য যে মাঝে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। মাঝে নানা দফায় পুরান ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গেল বছরের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহের এক রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। সেদিনও খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সেই রাতে তাঁকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ টি এম শামসুজ্জামানের অন্ত্রে প্যাঁচ লেগেছিল। সেখান থেকে আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা। এর ফলে খাবার, তরল, পাকস্থলীর অ্যাসিড বা গ্যাস বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং অন্ত্রের ওপর চাপ বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁর দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর কিছু শারীরিক জটিলতা হয়। টানা ৫০ দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৫ জুন তাঁকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিছুদিন সেখানে ছিলেন। গেল বছর ঈদও কেটেছে হাসপাতালের কেবিনে। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবারও কয়েকবার তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি হলে তাঁরা আবার সুত্রাপুরের নিজের বাড়ি ফিরে যান। আপাতত সেখানেই আছেন। আজও তিনি বাড়িতে সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন।

প্রসঙ্গত, এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির ‘বিষকন্যা; চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি; চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর