‘বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম’

‘বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম’

অনলাইন ডেস্ক

বসুন্ধরা করোনা ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড হাসপাতাল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালটি (বসুন্ধরা অস্থায়ী কভিড হাসপাতাল) সরকার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল।

রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে করোনা মোকাবেলায় ২ হাজার বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক মোট ২০১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে যার মধ্যে ৭১টির সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে।

এ ছাড়া এখানে আরো অন্তত ৪০০টি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আইসিইউ ব্যবস্থাসহ এই হাসপাতালটি উন্নত দেশের কভিড অস্থায়ী হাসপাতালের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই।

দেশের চলমান মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকলেও মানুষ ঘর না থেকে বাইরে বের হওয়ায় আমরা শঙ্কিত। মানুষের ভিড় কমাতে না পারলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে।

বাড়তেই থাকবে। ’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন দেখি বিভিন্ন যানবাহনে, বিশেষ করে রিকশায় সিএনজিতে জটলা পাকাচ্ছে মানুষ; অনেক লোক একসঙ্গে চলাফেরা করছে; দোকানে, শিল্প কারখানার সামনে কিংবা ফেরীঘাটে অনেক লোক একত্রিত হয়...- আমরা এসব দেখে আতঙ্কিত হই। এতে করে সংক্রমণ তো আরও বৃদ্ধি পাবে। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই লক্ষ্য করছি, কিছু দিনে সংক্রমণ অনেকটা বেড়েছে। আমরা যদি বাইরে যাওয়া না কমাই তাহলে সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। ’

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য গত ১২ এপ্রিল বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অস্থায়ী হাসপাতালের কাজ শুরু হয়। রবিবার এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এখানে সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৩টি শয্যা রয়েছে। আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে এটি এখন দেশের সবচেয়ে বড়। এখানে ৪০০টি বেড়ে একসঙ্গে অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় সরকারের পাশে দাঁড়ানোয় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ হঠাৎ করে এসেছে। এর কোনও চিকিৎসা না থাকায় উন্নত-অনুন্নত সব দেশই বিপাকে পড়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘চায়না বৃহৎ শক্তি, কোভিড মোকাবিলায় তারাও এলোমেলো হয়ে গেছে। এখনও তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ইউরোপ-আমেরিকা হিমশিম খাচ্ছে। সব জায়গায় করোনা আঘাত হানছে। আমরাও এর বাইরে নই। তবে আমরা শুরু থেকেই রোগীটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর