হাতিয়ায় বন্দুক, গুলিসহ ৫ জলদস্যু আটক

হাতিয়ায় বন্দুক, গুলিসহ ৫ জলদস্যু আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে কোষ্টগার্ড। এসময় অপহৃত ৯ জেলেকে উদ্ধার করে তারা।  

শনিবার গভীর রাতে হাতিয়ার সূখচর ইউনিয়নের উত্তর পাশে গাসিয়ার চরের সন্নিকটে মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।

রোববার ভোরে তাদেরকে হাতিয়া থানায় সৌপার্দ করা হয়।

হাতিয়া কোষ্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, বিচ্ছিন্ন ভাবে জলদস্যুরা গত দুদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে নয়জন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছে। এ সংবাদ পেয়ে কোষ্টগার্ডের একটি টিম নদীতে অভিযানে যায়। পরে শনিবার রাতে কোষ্টগার্ড গাসিয়ার চরের কাছে জলদস্যুদের দেখে দাওয়া করলে অনেকে পালিয়ে গেলেও ৫ জলদস্যুকে তারা আটক করে। এসময় জলদস্যুদের কাছ থেকে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়।

এসময় জলদস্যুদের অপহৃত ৯ মাঝি মাল্লাকে ও উদ্ধার করা হয়।  

আটক ৫ জলদস্যু হলো- লক্ষীপুর জেলার কমলগঞ্জ থানার তালতলি ইউনিয়নের চরমাটিয়া গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ (২৭), একই জেলার একই থানার চর কাদিরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৮) একই জেলার রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হারুন(৩৫), ভোলা জেলার তজুমদ্দি উপজেলার  চরজহিরুদ্দিনের মফিজ মাস্টারের ছেলে মো. হোসেন (৩৩), লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৪৫) সহ ৫জন।

উদ্ধার করা ৯ জেলের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালীর সূবর্নচর উপজেলায়। অন্যদের বাড়ি হাতিয়া উপজেলায়।

হাতিয়া কোষ্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিত বড়ুয়া জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কোষ্টগার্ড বাদী হয়ে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেছে। এছাড়া জেলেদেরকে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর