ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’: কালকের মধ্যই সব ধান কাটার নির্দেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’: কালকের মধ্যই সব ধান কাটার নির্দেশ

শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‌‘আম্ফান’র প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরিভাবে এ সভা আহবান করা হয়। রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার বিকেলের মধ্যে মাঠের সব ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলাজুড়ে মাইকিং করা হবে। উপকূলের বেড়িবাঁধের মধ্যে ৩৭ টি পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ আছে। এগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করার জন্য জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ১৪৭ টি সাইক্লোন শেল্টার আছে।

সেখানে আগামীকাল বিকেলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া উপদ্রুত এলাকায় ১ হাজার ৭৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। সে গুলোকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী দল উপকূল এলাকায় পোঁছে গেছে। তারা এলাকার নারী শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের এসব আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে। সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে উপদ্রুত এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, বিজিবি সহায়তা করছে। প্রয়োজনে অন্যবাহিনীর সদস্যদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ধেয়ে আসছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের দিকে। এ কারণে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শায়ায়েত, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকতসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বে-সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর