শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রী চাপ। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ফেরি চলাচল।

সরেজমিন দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকেই গাদাগাদি করেই পারাপার হয়েছে যাত্রীরা। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।

বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হয় ফেরি চলাচল।

তবে সোমবার সকাল থেকে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ছিল। হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। তবে কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের মাদারীপুরে অংশে ফেরি পারাপারের যাত্রী তুলনামূলক কম।

রাজধানী থেকে ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশ ঘরমুখো হওয়ায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি রয়েছে।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহন না পেলেও বরিশাল পটুয়াখালী যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। দিনভর ঘাটে ফেরি ভেরার সাথে সাথে শত শত যাত্রীরা গাদাগাদি করে নামতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হয়েছে।

এদিকে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অধিক হারে। উভয় পাড়ে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, ইজিবাইকে চড়ে
গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন বাড়তি ভাড়া। বিশেষ করে নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়ছেন।

পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে উভয় ঘাট থেকেই যাত্রীরা পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ আর কয়েক গুণ টাকা খরচ করে ওপাড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত ও এপাড় থেকে বরিশাল, খুলনা, ভোলা, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছাতে দেখা গেছে। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগেও খরচ করতে হয়েছে কয়েক গুণ টাকা। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, ভ্যান, মোটরসাইকেলে চড়েই যাত্রীরা যার যার স্থানে রওনা দেন।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ বিভিন্ন উপায় ফেরি ঘাটে এসে জমায়েত হয়। ফেরিতে যাত্রী পারাপার না করার জন্য ফেরি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেন যাত্রীরা জড় না হতে পারে সে ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর