লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে অনলাইন কেনাকাটায়। তবে এরপরও সন্তুষ্ট নয় বিক্রেতারা, প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা তাদের। একদিকে পণ্য তৈরিতে বিলম্ব হওয়া অন্যদিকে তা ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে নেই সংকট জনবলের। সব মিলে আগামী বাজেটে ই-কমার্স প্লাটফর্মের জন্য ভর্তূকী চান তারা।
আমাদের প্রতিবেদক সুলতান আহমেদ জানাচ্ছেন, কম্পিউটারের মনিটরে তাকিয়ে পছন্দ করা এরপর এক ক্লিকে কেনা। ঝামেলা বিহীন এই লেনদেনে নির্ভরতা বাড়ছে বিশ্ববাসীর। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সব বয়সী মানুষের মাঝে বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা। করোনা ভাইরাস মহামারিতে ঘরবন্দি মানুষের কাছে রিতিমতো প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে ই-কমার্স।
দারাজ, বাগডুম, ইভ্যালি, আজকের ডিলসহ বিভিন্ন ই-কমার্স স্টোর এখন বাড়িয়েছে তাদের পণ্যের পরিধিও। ঘরে বসেই ক্রেতা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পোশাক, চাল-ডাল নিত্যপণ্য সহ নানা পণ্য। তবে ক্রেতারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী যোগান পাচ্ছেন না তারা। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পণ্যের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা। এত কেনাকাটার পরও ব্যবসায়ীরা বলছেন, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ই-ক্যাবের হিসেবে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অনলাইন কেনাকাটার পরিসর বাড়ানোর তাগিদ দিলেন বিশেষজ্ঞরাও। তবে এক্ষেত্রে দেশে উৎপাদিত পণ্যকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন তারা। এ বছর আম, লিচু, কাঠাল সহ মৌসুমী ফল বিক্রিতেও ভরসা করতে হচ্ছে অনলাইন স্টোরগুলোর উপর। এজন্য এরই মধ্যে বড় কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)