খুলনায় ঝড়ো হাওয়া ভারী বৃষ্টিপাত

সাগর উত্তাল থাকায় মোংলা বন্দরে সকল নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে

খুলনায় ঝড়ো হাওয়া ভারী বৃষ্টিপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই খুলনার বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও পাইকগাছা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে জোয়ারে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। কয়রা ও দাকোপের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

তবে বটিয়াঘাটা এলাকায় এখনো ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা না বাড়ায় সেখানকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে আগ্রহী হচ্ছে না।

এদিকে আম্পানের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় মোংলা বন্দরে জাহাজে পন্য ওঠানো-নামানো বন্ধ রয়েছে। সকল ধরনের নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে খুলনায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

আকাশে ভারী মেঘ ও সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। মঙ্গলবার রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হলেও বুধবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এদিকে দুপুরের মধ্যেই উপকূলীয় এলাকার সকল মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে খুলনার ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয়
এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপকূলের দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আনসার ও ভিডিপি খুলনা জেলা কমাডেন্ট হাফিজ আল মোহাম্মার গাদ্দাফী বলেন, মানুষকে নিরাপদ
আশ্রয়ে নিতে প্রশাসন কাজ করছে। দুপুরের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে না গেলে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে।  

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ
২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। বেসরকারি এনজিও’র রয়েছে আরো ১১শ’ স্বেচ্ছাসেবক। আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর