গাজীপুরে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে, কিশোর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে, কিশোর গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিমখন্ড গ্রামের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে কিশোরীর পিতা দুই কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর তা মামলা হিসেবে রুজু করেন শ্রীপুর থানা পুলিশ। এদিকে বুধবার দুপুরে উপজেলার বরমী গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

গাজীপুর জেলা পুলিশের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভিকটিম কিশোরী (১২) স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত কিশোরদের একজনের বয়স ১৪ বছর, তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় অপরজনের বাড়ী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়, তার বয়স ১৫ বছর। কিশোরী ও কিশোরদের পরিবার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া থেকে জীবিকা নির্বাহ করত।

কিশোরীর স্বজনরা জানান, পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে কিশোর ও কিশোরীর মধ্যে পরিচয় গড়ে উঠে।

গত ১১ মে কিশোরের ভাড়া বাড়ি ফাঁকা থাকার সুবাদে কিশোরীকে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ১৪ বছর বয়সী কিশোর।  

পরে ঘরের দরজা আটকে কিশোরীকে অভিযুক্ত ১৪ বছর বয়সী কিশোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। তার সাথে থাকা ১৫ বছর বয়সী কিশোর মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের এ ঘটনা কারও নিকট প্রকাশ করা হলে কিশোরীকে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র প্রচারের ভয় দেখানো হয়।

পরে গত মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে ১৪ বছর বয়সী কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণের ওই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়ির মালিক পুলিশের খবর দেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল গিয়ে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছার আগেই অভিযুক্ত কিশোর পালিয়ে যায়। পরে কিশোরী পরিবারকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, কিশোরীর বাবার আবেদনের প্রেক্ষিত্রে রাতেই শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গাজীপুর জেলা পুলিশের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তারের মাঠে নামেন। পরে গোপন সংবাদে উপজেলার বরমী গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিজনকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল