রংপুর সদর-৩ আসনের এমপি সাদ এরশাদ ও তার স্ত্রী মিসেস সাদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জাতীয় পার্টি নেতা টিটোকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা নিয়ে তার মুক্তির দাবিতে পল্লী নিবাস বাস ভবন ঘেরাও ও বিক্ষোভের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের ঘটনা ঘটেছে।
এক পক্ষে সাদ এরশাদ ও তার স্ত্রী, অন্যপক্ষে রংপুর সিটি মেয়র ও মহানগর জাপার সভাপতি মোস্তফা। দুপক্ষই পরস্পরকে দায়ি করে বিচার দাবি করেছে।
এদিকে গ্রেপ্তার জাপা নেতা টিটোর মুক্তির দাবিতে নগরীতে সিটি মেয়রের মোস্তফার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে দুপুর দেড়টায় নগরীর দর্শনা এলাকায় পল্লী নিবাস বাস ভবনে সাদ এরশাদ ও তার স্ত্রী মিসেস সাদ সংবাদ সম্মেলন করেন। সাদ এরশাদ অভিযোগ করেন আমার বাবা এরশাদ মারা যাবার পর এখানকার কিছু নেতা চায় না এরশাদের পরিবারের লোকজন এখানে রাজনীতি করুক। এখানে কিছু নেতা আছেন তারা তাদের কথা মতো আমাকে চলতে বলেন ।
তবে সাদ এরশাদের সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ছাড়া জাপার একজনও নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন না। এর কারণ জানতে চাইলে সাদ বলেন, ওরা এক হয়ে গেছে।
সম্মেলনে সিটি মেয়র মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, সাদ এরশাদ এমপি নির্বাচিত হবার পর দলের নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। কাউকেই পল্লী নিবাস বাসায় যেতে দেন না। কিছু সুবিধাবাদি বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বলয় তৈরি করেন।
মঙ্গলবার জাপা ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান একটি ডিও লেটারে স্বাক্ষর নেবার জন্য সাদ এরমাদের বাড়িতে গেলে সেই ডিও লেটার ছিড়ে ফেলা হয়। শুধু তাই নয় পুলিশ ডেকে তাকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। সাদ এরশাদের বিভিন্ন অপকর্মে অতীষ্ঠ দলের নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ। টিপু সুলতার জাপার নিবেদিত প্রাণ। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে চরম অবিচার করা হয়েছে আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই বলে জানান তিনি।
পরে লক ডাউন উপেক্ষা করে জাপার নেতাকর্মীরা সাদ এরশাদের বিরুদ্ধে নগরীতে বিক্ষোভ করে।
নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মহানগর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর জাপার সভাপতি রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা , মহানগর যুগ্ন সম্পাদক লোকমান হোসেন, জেলা জাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মহানগর যুব সংহতির সভাপতি জাকির সম্পাদক শান্তি কাদেরী সহ জেলা মহানগর জাপার নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
