শুরুতে লকডাউন ওয়ারি-রাজাবাজারে

প্রতীকী ছবি।

শুরুতে লকডাউন ওয়ারি-রাজাবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনায় বিপজ্জনক জোন হিসেবে রাজধানীতে সবার আগে ধানমণ্ডি, ওয়ারী ও রাজাবাজারকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এটা বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। তবে আনুসঙ্গিক কিছু প্রস্তুতি বাকি থাকায় আগামীকাল রবিবার থেকে লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এলাকা দুটির লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো লকডাউন করা হবে।

সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় সরকার পুরো দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বেশকিছু এলাকাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজধানীর সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার আগে পরীক্ষামূলকভাবে পুরান ঢাকার ওয়ারী, ধানমণ্ডি ও রাজাবাজারকে লকডাউনের আওতায় আনার কথা ছিল।

তবে সেটা আগামীকাল হবে। যে এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে, সেই এলাকা সম্পূর্ণ ব্লক রাখা হবে। সেই এলাকায় কেউ ঢুকবেও না, কেউ বেরও হবে না। ওই এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ইতোমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডকেই ‘রেড জোনে’র আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কক্সবাজার পৌর এলাকায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২০ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। ইতোমধ্যে জেলাপ্রশাসন থেকে লকডাউন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকা এবং উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের  ২, ৩, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডকেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত রেড জোন এলাকায় আগামী ৭ জুন বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী ১৪ দিন কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, এবারের লকডাউনে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করছে প্রশাসন। আগের মতো প্রতিদিন সীমিত পরিসরে হলেও বাজার খোলা থাকছে না। শুধুমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলতে পারবে। এই সময়ে শুধু ওষুধের দোকান ছাড়া কোন ধরণের দোকান, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। সব ধরণের ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন টার্মিনাল ‘রেড জোনে’র বাইরে স্থানান্তর করতে হবে। ১৪ দিনের এই লকডাউনে জরুরি সংবাদ সংগ্রহের কাজে সাংবাদিকদেরও কার্ড নিতে হবে।