রেড জোনে রংপুর, লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন

রেড জোনে রংপুর, লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর

রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার হলেও এখন পর্যন্ত এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অথচ এই বিভাগের ৮ জেলাই রেড জোনের আওতায়।

জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, লকডাউনের বিষয়টি প্রশাসন দেখবেন। অপরদিকে প্রশাসনে পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত নতুন করে ৭ জেলায় ৪৩ জন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১৯, দিনাজপুরে ৮, পঞ্চগড়ে ৪, লালমনিরহাটে ২,
কুড়িগ্রামে ৩, গাইবান্ধায় ৪, এবং নীলফামারী জেলায় ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে
দিনাজপুর এবং গাইবান্ধায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ জনে এবং বিভাগের ৬ জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬ জনে।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এই বিভাগের মধ্যে রংপুরে সর্বাধিক সংখ্যক ৫০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে
এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এর পরেই দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৩ জনে এবং
মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

এছাড়া নীলফামারী জেলায় ১৫৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ঠাকুরগাঁয় আক্রান্ত ১৪৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। পঞ্চগড়ে আক্রান্ত ৯১, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। গাইবান্ধায় আক্রান্ত ৮৪, মৃত্যু হয়েছে ৪ এবং কুড়িগ্রামে ৭৯ ও লালমনিরহাট জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৫১ জন।
করোনা সন্দেহে এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬৫ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা মোট সংখ্যা
দাঁড়ালো ৪১ হাজার ৩৯৪ জন। এছাড়া রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫১ জনসহ মোট ৩৬ হাজার ১২০
জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এসব জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৬১০ জন রোগী সুস্থ হয়েছে।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান বলেন, এ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৭৮ টি, তার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৪৩ টি।

তিনি বলেন, এ সময় ২ জন মারা গেছে। মোট মৃত্যু হয় ২৬ জনের।

এদিকে, এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের কথা শোনা গেলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের কোনো প্রস্তুতি নেই।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( এডিএম) আরাফাত রহমান বলেন, এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের কোনো
পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি।

অপরদিকে জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, লকডাউনের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর