ভাতিজি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত চাচা গ্রেপ্তার

ভাতিজি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত চাচা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার আপন চাচা সোহেলকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীর বাবা তার আপন ভাইয়ের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। আদালতে কিশোরী কথা স্বীকার করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের হেসিয়ারা পূর্বপাড়ার আবদুল মন্নানের ছেলে সোহেল আপন ভাতিজিকে ধর্ষণ করে।

এতে ভাতিজি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সমাজপতিরা কয়েক দফা সালিশ বৈঠকে বসলেও কোন সুরাহা না করে সময়ক্ষেপণ করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার না হলে কিশোরীর ভাই রাসেল তার বোনকে নিয়ে আত্মহত্যা করার ঘোষণা দেয়।
বিষয়টি নিয়ে ১১ জুন সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়।

১৪ জুন বিকেলে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী নিজ উদ্যোগে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে কিশোরীর ভাই রাসেলকে থানায় নিয়ে আসেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় কিশোরী এবং তার বাবকেও থানায় হাজির করা হয়। রাত ১২টার দিকে কিশোরীর বাবা তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আপন সহোদর সোহেলকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর মা অসুস্থ থাকায় গত বছরের নভেম্বর মাসে তার বাবা-মাকে নিয়ে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক তারা ওই ক্লিনিকে ৫/৬দিন অবস্থান করেন। এ সুযোগে বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরীর চাচা সোহেল কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। টানা চারদিন ধর্ষণ করে বিষয়টি প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে কিশোরী কাউকে জানায়নি। এরই মধ্যে তার মা অসুস্থতা নিয়ে মারা যান। কিশোরী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বসলে কিশোরী ওই ঘটনার জন্য চাচা সোহেলকে দায়ী করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আখতার হোসেন বলেন, কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় তার চাচা সোহেলকে দায়ী করে কিশোরী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। রাতেই আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়। পরে গতকাল রোববার সকালে বাঙ্গড্ডা এলাকা থেকে আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সন্তান প্রসবের পর ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানান ওসি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর