মাফিয়া সাজলেন ক্ষমতার দাপট দেখালেন, তারপর?

মাফিয়া সাজলেন ক্ষমতার দাপট দেখালেন, তারপর?

নঈম নিজাম

‘যা কিছু ভালোবাসি সবই পেয়েছি/যা হারিয়েছি তা হলো নির্জনতা/এখন আমি আর ওই পাথরের ছায়ায় বিশ্রাম নিই না/সমুদ্র কাজ করে চলেছে আমার সত্তায়। ’ পাবলো নেরুদার লেখা।

করোনাকাল ভাবিয়ে তুলছে অনেক কিছু। সময়টা বড় অদ্ভুত।

চলার পথের মানুষগুলো আরও বেশি। আক্রান্তকালীন আতঙ্ক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছি। তবু চারদিকে মৃত্যুর খবর মনকে বিষণ্ন করে তুলত। নিজেকে নিয়ে ভাবতাম চলে যাব না তো চিরতরে! রাতে প্রথম দিকে ঘুমের সমস্যা হতো।
আগে ঘুমাতে গেলে মাঝরাতে ঘুম ভাঙত। এক রাতে গলায় ব্যথা বাড়ল। শ্বাস মাপলাম। ৯২। ডাক্তার বলেছেন ৯০-এর নিচে নামলে হাসপাতালে যেতে হবে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঘরে থাকা যাবে না। কিন্তু কোন হাসপাতালে যাব? সব হাসপাতালেই ফোন করলে বলত, আইসিইউ নেই। অক্সিজেন নেই। আসন নেই। কীভাবে করব ভর্তি? সব শুনে চুপ করে যেতাম। ভাবতাম বাসায় একটা রুমে আলাদা আছি সেটাই ভালো। পরিবারের সদস্যরা দেখাশোনা করছে। ডাক্তারের পরামর্শ শুনছি। নিজের মতো করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি। মনকে শক্ত রেখে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি এ কম কী? খারাপ লাগত চারদিকে মৃত্যুর বিভীষিকার খবরে। মৃত্যুর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নেই। কিন্তু সেই সত্য অনেকে অনুধাবন করছেন না। ভয়ঙ্কর ক্ষমতাবানরা নিজেদের নিয়েই এখনো বড়াই করছেন। দেখিয়ে দিচ্ছেন ক্ষমতার বিশালত্ব। এসব দেখে অবাক হই না। বিস্মিত হই না। শুধু ভাবী, এ দুঃসময়েও কীসের এত অহংকার? কীসের এত দেমাগ! কাল চলে গেলে মিশে যেত হবে মাটির সঙ্গে। তারপর ফেরেশতারা এসে প্রশ্ন করবেন, কী করলেন দুনিয়ায়? জবাবটা কী দেবেন? আর্থিক আর স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া সাজলেন। ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অর্থ রোজগার করলেন। অন্যকে হয়রানি করলেন। তারপর? ওপরে একজন আছেন। তিনি সব দেখেন। সব শোনেন। তিনি সব জানেন। দুই দিনের দুনিয়াকে সুখের সাগর বানিয়ে লাভ নেই। আজ হোক কাল হোক, যেতে সবাইকে হবেই।

করোনাকালে আওয়ামী লীগের অনেক নিবেদিতপ্রাণের মানুষ চলে যাচ্ছেন। নীরব অভিমান নিয়ে চলে গেলেন মোহাম্মদ নাসিম। আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক থাকাকালে ব্যক্তিগত সম্পর্কটা গড়ে ওঠে। তখন পত্রিকা অফিসের কাজ ভোররাত পর্যন্ত হতো। নাসিম ভাইকে রাত ১টায় ফোন দিয়েও পেতাম। যে কোনো সংবাদের যাচাই নিয়ে কথা বলতাম। বিরক্ত হতেন না। ’৯৬ সালের সরকারে ক্ষমতায় থাকাকালে একজন ক্রাইম রিপোর্টারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় তার। হয়রানিতে পড়েন সেই সাংবাদিক। সেই সাংবাদিকের পরিবারের অনুরোধে গিয়েছিলাম নাসিম ভাইয়ের কাছে। বললাম, এ বিষয়টি ভুলে যেতে হবে। তিনি বললেন, ঠিক আছে ভুলে গেলাম। এখন চা খান। এভাবে বলার মতো এখন কজন রাজনীতিবিদ আছেন মন্ত্রিসভায় বা দলে? বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিলেটের গণমানুষের নেতা। ২৪ ঘণ্টা রাজনীতিটাই করতেন। সবসময় যোগাযোগ রাখতেন। কথা বলতেন রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে মন খারাপ হলে। ওয়ান-ইলেভেনে কুমিল্লা কারাগারে ছিলেন। দেখে এসেছিলাম। বলতেন, কারাগারে সব দলের নেতাকে নিয়ে নামাজ পড়েন। সেই নামাজের ইমামতি করেন তিনি। মুক্ত কামরানের সঙ্গে অনেক দীর্ঘ আড্ডা দিয়েছি সিলেট বা ঢাকায়। রাতের আডডায় গান ধরতেন শাহ আবদুল করিম, হাসন রাজার। মাটি ও মানুষের নেতা কামরান ভাই চলে গেলেন। মানুষের জীবন এত ঠুনকো? শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। ফিরলেন লাশ হয়ে। এ মানুষটির সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলেই হাসিমুখে এগিয়ে আসতেন। দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে সংবাদকর্মী হিসেবে গোপালগঞ্জ গেলে আবদুল্লাহ ভাইয়ের বাড়িতে যেতাম। খোঁজখবর নিতেন। বড় কই মাছ দিয়ে তার দোতলা বাড়িতে ভাতও খেয়েছিলাম। তিনিও থাকলেন না। চলে গেলেন।

চলে যাওয়া মানুষের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। তার পরও এত হিংসা এত বিদ্বেষ নিয়ে চলতে হবে! রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ভয়ঙ্কর এক হিংসার রাজনীতি চলছে অনেক দিন থেকে। সেই হিংসার আসর ছড়িয়ে পড়ছে সমাজের সবখানে। রাজনীতিতে, সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ সবসময় ছিল। কিন্তু এমন অবস্থা অতীতে কখনোই ছিল না। ছায়ার মাঝেও ভূত দেখলে সমস্যা। এক দুঃখজনক পরিস্থিতির দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। হারিয়ে যাচ্ছে সুস্থধারার সংস্কৃতি। ’৯১ সালের সংসদে ক্ষমতাসীন বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের সঙ্গে বাহাস হতো তরুণ এমপি মির্জা আজমের। ভোরের কাগজে সংসদের রিপোর্ট করি সৈয়দ বোরহান কবীর ও আমি। পত্রিকায় সালাম তালুকদারের প্যারালাল খবর যেত মির্জা আজমের। লাইমলাইটে চলে আসেন মির্জা আজম। হঠাৎ মির্জা আজম খেয়াল করলেন এলাকার উন্নয়ন পর্যাপ্ত করতে পারেননি। লড়াইয়ে লড়াইয়ে বেলা কেটে গেছে। দলীয় সভানেত্রীকে জানিয়ে বিরোধী দলের উপনেতা আবদুস সামাদ আজাদকে নিয়ে গেলেন যোগাযোগমন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমদের কাছে। আবদুস সামাদ আজাদ বললেন, ১৯৭৫ সালের পর কোনো দিন সচিবালয়ে আসিনি। শুধু এলাম এই তরুণ এমপির এলাকার উন্নয়ন কাজ নিয়ে। আমার সুনামগঞ্জের কোনো কিছু নিয়ে নয়। তার এলাকার রাস্তার কাজগুলো করতে হবে। অলি আহমদ জবাবে বললেন, এত কিছু বলতে হবে না। আপনার মতো মানুষ আমার অফিসে এলেন আজমের বিষয় নিয়ে। কোন মন্ত্রীর সঙ্গে তার কী লড়াই দেখার বিষয় নয়। সব কাজ হবে আজমের। কাগজ দিন। চা খান। তিনি সব কাজ করে দিলেন। করোনাকাল শুরুর কিছুদিন আগের কথা। মির্জা আজমের ফোনে একটি কল এলো। অন্য প্রান্তের নারী কণ্ঠ বললেন, আজম তোমার চাচি মিসেস সালাম তালুকদার বলছি। বিস্মিত হলেন আজম এই ফোন পেয়ে। বললেন, চাচি বলুন, আপনি ফোন করেছেন ভাবতেই পারছি না। মিসেস তালুকদার বললেন সরিষাবাড়ীর একটি জমি বিক্রি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। স্থানীয় কোনো আওয়ামী লীগের প্রভাবে রেজিস্ট্রিতে ঝামেলা হচ্ছে। আজম বললেন, চাচি আপনি চিন্তা করবেন না। কাজটি আমি করে দিচ্ছি। মির্জা আজম তখনই ফোন করলেন জামালপুরের জেলা প্রশাসককে। নির্দেশ দিলেন এখনই সব করে দিন যেভাবে চান মিসেস সালাম তালুকদার। আর তার জমি বিক্রিতে বাধা দিলে আমাদের দলীয় কোনো নেতা-কর্মী যেই হোক তাকে আটক করবেন। কাজ হয়ে গেল দুই দিনের মধ্যে। মিসেস তালুকদার আবার ফোন করলেন মির্জা আজমকে। বললেন, তুমি এত দ্রুত কাজ করে দেবে ভাবতেও পারিনি। আজম বললেন, চাচি ভালো লাগছে কাজটি করতে পেরে। চাচার সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। ব্যক্তিগত কিছু ছিল না। আপনি ভালো থাকুন। ভাতিজা হিসেবে কোনো বিষয়ে ফোন করলে খুশি হব।

বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু দুঃখ করে বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় সবাই মিলেমিশে ছিলাম কাশিমপুর ও ঢাকা জেলে। এ সময় এক বাড়ির রান্না এলে সবাই ভাগ করে খেতাম। মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজে আয়োজন করতেন জেলখানার ভিতরে রান্নার। সবাই মিলেমিশে আড্ডা, খাওয়া, বিকালে একসঙ্গে হাঁটাহাঁটি করতাম। গল্পের আসর জমত। আলাপ-আলোচনা করতাম রাজনীতি স্বাভাবিক হলে বাকি জীবন একসঙ্গে কাটাব। কিন্তু কোথায় গেল এখন সেই রাজনীতি? দুলুর দুঃখটা বুঝি। ইলিয়াস আলী ‘নেই’ হয়ে যাওয়ার পর অনেক দিন আতঙ্কে ছিলেন দুলু নিজেও। এই রাজনীতির শেষ কোথায় কেউ জানে না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় অনেক রাজনৈতিক বন্ধুকে দেখতে যেতাম কারাগারে। একদিন ঢাকার জজকোর্টে পুলিশ ভ্যানে দেখলাম সালমান এফ রহমান, আলী আসগর লবী, এম এইচ সেলিম (সিলভার সেলিম), রেদোয়ান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ-বিএনপির কয়েকজন মিলে খাওয়া-দাওয়া করছেন। সবার বাড়ি থেকে খাবার এসেছে। পুলিশ ভ্যানে খেতে হচ্ছে তাদের। এখন কি কারও মনে আছে সে কথা? ওয়ান-ইলেভেনের পলাতক সময়ে যে বন্ধুর পরিবার আমার বাসায় ছিলেন তারাও মনে রাখেননি সেসব দিনের কথা। আরেকবার ঢাকা জজ আদালত থেকে পুলিশের বড় গাড়িগুলোয় করে যাচ্ছেন জাতীয় নেতারা। এ গাড়িগুলোয় দাঁড়ালে বাইরে থেকে মুখ দেখা যায়। একজন নেতা মুখ বাড়ালেন বাইরের দৃশ্যপট দেখার জন্য। উঁকি মারতেই বাজে মন্তব্য এলো রাস্তায় দাঁড়ানো মানুষের মুখ থেকে। সে সময়ের কথা কি সবাই ভুলে গেছেন? এখন কারোই কোনো কিছু মনে নেই। এমনকি করোনায় মারা যাওয়া সহকর্মীদের কথাও কেউ ভাবেন কিনা জানি না। মৃত্যুর বিভীষিকা কারও মাঝে আর কান্না তৈরি করে না। বৈশ্বিক মহামারী আমাদের কঠিন একটা অবস্থার দিকে নিচ্ছে। কিন্তু সে ভাবনাও কারও আছে বলে মনে হয় না।

আসলে সবকিছু যত কম মনে রাখা যায় তত ভালো। রাজনীতিবিদদের সুবিধা আছে তারা সব ভুলে যেতে পারেন। আর সাধারণ মানুষের অসুবিধা তারা মধু মনে করে রাজনীতিবিদদের দেওয়া বিষ খেয়ে ফেলেন। ভালোবাসার সে বিষ তিল তিল করে কষ্ট দিয়ে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করে দেয় নিরীহ মানুষকে। ধ্বংস করে দেয় চিন্তাশীলতাকে। প্রয়াত নূরুল হুদা লিখেছিলেন, ‘আগে যদি জানতাম তবে মন ফিরে চাইতাম... এই জ্বালা তো প্রাণে সহে না। ’ প্রাণে না সইলেও সব মেনে নিতে হয়। নূরুল হুদা অনেক গান লিখেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হুদার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লাকী আখন্দ ও ফেরদৌস ওয়াহিদ। এখন রাজনীতি করে কেউ সৃষ্টিশীলতায় জড়ান না। ছাত্রলীগ নেতা নূরুল হুদা ’৭৩ ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা ছিলেন। ’৭৯-এ পদত্যাগ করে এমপি হন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। ’৯১ সালে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তার লেখা গান আমাদের প্রজন্মে সাড়া জাগিয়েছিল। গান নিয়ে আরেকটা কথা মনে পড়ছে। আমাদের গ্রামে একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের ভক্ত। ’৭৮-৭৯ সালে দোকানে শুধু হিন্দি গান বাজাতেন ক্যাসেট প্লেয়ারে। আওয়ামী লীগ ঘরানার কেউ এলে তিনি গান বদলিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতেন। একদিন প্রশ্ন করলাম, হুট করে গান বদলিয়ে ভাষণে গেলেন কেন? বললেন, ভাষণ এখন বাজানো যায় না। সবাই হুমকি দেয়। বাজালে মেরে ফেলার কথাও বলে। আপনাদের পেয়ে সাহস পাইলাম। ভাষণটা শুনে একটু চাঙ্গা হয়ে নিলাম। গানে ছিলাম বিরহে। কি সুন্দর করে বর্ণনা দিতেন! শুধু আশির দশক নয়, ২০০১ সালের পরও জাতীয় শোক দিবস পালনে বাধা দেওয়া হতো। ভয়াবহ অবস্থা ছিল। এখন আর কোনো কিছু কারও মনে নেই। আওয়ামী লীগ এখন সুখের সমুদ্রের স্রোতে ভাসা ক্ষমতার অহংকারী প্রতিষ্ঠান। অহংকার থাকা ভালো। কিন্তু বেশি অহংকার অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে।

করোনাকাল শুরুর পর বিশ্ববাসীর অহংকার আর ক্ষমতার দাপট দেখানোর কিছু নেই। সারা দুনিয়া আজ অন্ধকারে ঢেকে গেছে। ক্ষমতা, বিজ্ঞান সব পরাজিত। প্রকৃতির দাপটই বড় সত্য। নিকষ কালো আঁধারে ছেয়ে আছে আকাশ। কবে কাটবে এ আঁধার আর মানুষের মনের হিংসা-বিদ্বেষ? মানুষের দুনিয়ায় কোনো উত্তর নেই। শুধু আশার বাণী শোনানো হচ্ছে ভ্যাকসিন একদিন আসবে। বিশ্বাস করি আসবে হয়তো একদিন। কিন্তু আমাদের মতো দেশগুলোয় সব স্বাভাবিক কবে হবে কেউই নিশ্চিত নই। শুধু নিশ্চিত মানুষ বদলাবে না। পরিবর্তন হবে না চিন্তার। থামবে না যুদ্ধবিগ্রহ। মানুষ আরও নিষ্ঠুর হবে। ভয়ঙ্কর হবে চারপাশ। আরও গভীর অন্ধকারের দিকে আমরা এগিয়ে যাব। কদমগুচ্ছ খোঁপায় গুঁজে কেউ বর্ষা দেখবে না। কবিতার আসর জমবে না। ডিজিটাল দুনিয়া ঘরে বসে আরও হিংসা-বিদ্বেষ শেখাচ্ছে। দখিনের জানালা খুলে বৃষ্টি দেখার কথা কেউ ভাবে না। গন্ধরাজের ছড়িয়ে পড়া মায়াবী জগতে কেউ প্রবেশ করে না। এখন যোগ দেয় বিকৃত আনন্দ উৎসবে। কেউ বোঝে না, সবকিছুর একটা শেষ আছে। শুধু সৃষ্টিশীলতাকে শেষ করা যায় না। জীবন সামনে চলার। থেমে থাকার নয়।

 লেখক : প্রধান সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোর ও সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল