আর্থিক সংকটে গণমাধ্যম, সরকারের কাছে পাওনা শতকোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক সংকটে গণমাধ্যম। করোনাকালে তা ভয়াবহ রূপ নিলেও, এ সংকট আরো আগের। বিজ্ঞাপনী নীতিমালায় অসঙ্গতি আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপণ চলে যাওয়া ঠেকাতে সরকারের ব্যর্থতায় এমনটা ঘটছে বলে অনেকের ধারণা। বিজ্ঞাপন নীতির অসঙ্গতি হিসেবে ওষুধের বিজ্ঞাপন প্রচারের অনুমতি না থাকা নিয়েও কথা তুলছেন অনেকে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে হর-হামেশাই চোখে পড়ে ওষুধের বিজ্ঞাপণ... বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে ওষুধের বিজ্ঞাপণ প্রচারিত হলেও, বাংলাদেশে তা নিষিদ্ধ... ফলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপণ প্রচার করতে পারছে না ওষুধ কোম্পানিগুলো।

আবার সরকারি বিজ্ঞাপণ প্রিন্ট মিডিয়াতে থাকলেও, বঞ্চিত হচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া। এসব অসঙ্গতির কারণে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে গণমাধ্যম। সংবাদকর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস-বেসিসের হিসেবে বলছে, বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপণ চলে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে চলে যাওয়া বিজ্ঞাপণের অর্থও নেহাত কম নয়।  

বিজ্ঞাপণ বাবদ সরকারের কাছে বকেয়া পড়ে আছে শত কোটি টাকারও বেশি। শুধু চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কাছে ক্রোড়পত্র বাবদ গণমাধ্যমগুলো পাওনা আছে আছে ৮০ কোটি টাকা।

দেশের স্বার্থেই সরকারের ভূমিকা রাখা উচিত মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার খেসারত দিতে হবে রাষ্ট্র ও জনগণকে। তাই এখনই নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর