ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এদিকে পতাকা বৈঠকের পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ময়মনসিংহ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বিএসএফের লাশ ফেরত না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে বাংলাদেশের গোবড়াকুড়া সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত কর্মকর্তাদের পতাকা বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে বিজিবির গোবড়াকুড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুনুর রশিদ, হালুয়াঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মামুদ ও ওসি/তদন্ত আবু বক্কর ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফের পক্ষে কারা ছিল সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেটা বলেছে, গতরাতে কিছু বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ দেখতে পাইনি। লাশ হস্তান্তর করলেই পরিচয় জানতে পারবো। তবে নিহত যুবক বাংলাদেশি এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে। ’
ময়নাতদন্তের পর বুধবার দিনের কোনও এক সময় নিহত যুবকের লাশ বিএসএফ হস্তান্তর করবে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভারতীয় সীমানায় নদীর ঢালে জলিলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলে তার লাশ ফেরত পেতে সক্রিয় হয়ে উঠে বিজিবি। কিন্তু বিএসএফ গতকাল জলিলের লাশ হস্তান্তর করেনি। জলিল মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার ভাই খলিল।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)