ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা: শাশুড়ি ও ননদ গ্রেপ্তার

ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা: শাশুড়ি ও ননদ গ্রেপ্তার

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

নাটোরের হরিশপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী সুমাইয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগে তার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- শাশুড়ি সৈয়দা মালেক ও তার মেয়ে জাকিয়া ইয়াসমিন জুথি (ননদ)। তবে সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন ও শ্বশুর জাকির হোসেন এখনও পলাতক রয়েছেন।

নিহত সুমাইয়া নাটোর সদরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার মোস্তাক হোসাইনের স্ত্রী ও শহরের বলাড়িপাড়া মহল্লার সিদ্দিকিুর রহমানের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী।

সম্প্রতি তার পড়াশোনা শেষ হলেও মাস্টার্সের ফল প্রকাশ হয়নি।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল সুমাইয়া প্রেম করে হরিশপুর গ্রামের মোস্তাককে বিয়ে করে। সুমাইয়ার বাবা সিদ্দিকুর রহমান মেয়ের দিকে তাকিয়ে বেকার জামাই মোস্তাকের চাহিদা পূরণ করে আসছিলেন। প্রায় ৮ মাস আগে সিদ্দিকুর রহমান মারা যাওয়ার পরও জামাইয়ের চাপ অব্যাহত ছিল।

বাড়ি ভাড়ার টাকায় সংসার চালিয়ে
দুই ছেলের খরচ, জামাইয়ের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছিলেন সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা।

এ কারণে চাকরি করে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন সুমাইয়া। কিন্তু বেকার স্বামী মোস্তাক তা মেনে নিতে চায়নি। বার বার শারীরিক নির্যাতন চালাতো সুমাইয়ার ওপর। সোমবার সকালেও সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন চালালে সংজ্ঞাহীন সুমাইয়াকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সবাইকে জানায়। এ ঘটনায় প্রথমে কোনো পক্ষ মামলা করতে রাজি হয়নি। পরে নাটোর থানা-পুলিশ একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মায়ের কাছে
হস্তান্তর করে। বিকেলে শহরের গাড়িখানা গোরস্থানে সুমাইয়াকে দাফন করা হয়।

পরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার সন্দেহ হলে তিনি নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে। এক পর্যায়ে সোমবার রাত ১টায় নিহত সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা বাদী হয়ে জামাই মোস্তাক ও ওই পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মোস্তাকের মা সৈয়দা মালেক ও বোন জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর