নিহত ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়ার স্বামী-শ্বশুর রিমান্ডে

নিহত ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়ার স্বামী-শ্বশুর রিমান্ডে

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার নিহতের স্বামী এবং শ্বশুরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার বেলা ১১টায় নাটোর থানার এসআই নজরুল ইসলাম সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক ও শ্বশুর জাকির হোসেনকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিকেলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে পুলিশ সুমাইয়ার শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা সুলতানা এবং ননদ জুথিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানালে বিচারক আগামী রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে চাহিদা মতো টাকা না পাওয়ায় বেকার মোস্তাক বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য সুমাইয়াকে বার বার চাপ দেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর সুমাইয়া তার অসুস্থ মায়ের কাছে টাকা না চেয়ে নিজেই কিছু একটা করার চিন্তা করছিলেন। এজন্য তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

মেধাবী সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি স্নাতকে প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন। গত বুধবার প্রকাশিত স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৪৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এই ফলাফল পাওয়ার আগেই সুমাইয়াকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, সুমাইয়াকে হত্যার পর এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে সুমাইয়ার শ্বশুরের পরিবার। তারা জানায়, গলায় ফাঁস দিয়ে সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে সব কিছু জানতে পেরে সুমাইয়ার মা সোমবার গভীর রাতে নাটোর থানায় মোস্তাকসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা দ্রুতই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করব।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল