নাদুসনুদুস ক্ষমতাবানদের একটা যুগ

নাদুসনুদুস ক্ষমতাবানদের একটা যুগ

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণের জানালা খুলে বৃষ্টি দেখছিলাম। বিশাল একটা খালি জমিতে খেলছে শিশু-কিশোররা। বৃষ্টির আনন্দ উপভোগ করছে। আহারে, এমন কিশোরকাল আমাদেরও ছিল।

একটি ছেলে জোরে বল মারতেই গিয়ে পড়ল সাইনবোর্ডে। খালি জমিটিতে সাইনবোর্ড ঝুলছে অনেক দিন থেকে। লেখা ‘এই জমির মালিক সংসদ সদস্য ...। চিনি এই এমপি সাহেবকে।
শুনি অনেক টাকার মালিক। ক্যাসিনোকান্ডেও নাম বেরিয়েছিল। এমপি সাহেবকে নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। সবাইকে আল্লাহ ভালো রাখুন। চারদিকে যা দেখছি বলার কিছু নেই। কিছু বলতে গেলেই সমস্যা। অনিয়মে জড়িতদের মসনদ আরও পোক্ত হয়। আর হঠাৎ আসা অতি-আওয়ামী লীগারদের শরীরে যন্ত্রণা হয়। এখনো, এই করোনাকালেও মাটিতে পা পড়ে না ওঁদের। সবাই আকাশ দিয়ে হেঁটে বেড়ান। যেন আকাশই সবার আজন্মের ঠিকানা। এখন বুঝি না অনেক কিছু। বয়স বাড়ছে। তাই হয়তো সবকিছু বড় অচেনা লাগছে। ক্ষমতার দাপটে বাতাস কাঁপিয়ে চলা এই আওয়ামী লীগ বড় অচেনা। ২০১৫ সালের পর নতুন একদল সুবিধাভোগীকে দেখছি আওয়ামী লীগে। আগে কোন পার্টি করতেন কেউ জানে না। চেহারা-সুরত নাদুসনুদুস। দল করতে নয়, ওঁরা এসেছেন ক্ষমতার মজা লুটতে। চারদিকে ওঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তার। গড়ে তুলেছেন মাফিয়া চক্র। ওঁদের দাপটে সাধারণ মানুষ দূরে থাক, সাধারণ আওয়ামী লীগাররাই টিকতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে মনে হয় সবকিছুর শেষ আছে। কিন্তু নাদুস চেহারার হাইব্রিডদের কান্ডকীর্তি দেখে মনে হয় ওঁদের শুধু জোয়ারই আছে। ভাটা নেই। ত্যাগী প্রবীণ আওয়ামী লীগাররা সবকিছু নীরবে হজম করছেন। বুঝছেন কোনো কিছু বলে লাভ নেই। ক্ষমতার পারদ বলটা এখন কোথায় কেউই জানে না। তাই কথা বলে আর কী হবে? তার চেয়ে চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। দিন তো চলে যাচ্ছে, যাক না!!

সবকিছু এমন ছিল না। আগের নেতারা সাদামাটা ছিলেন। কোনো অহংকার ছিল না। ১৯৯৬ সালে বিলম্বে মন্ত্রী হন আবদুল জলিল। ইন্দিরা রোড থেকে তিনি গিয়ে ওঠেন ধানমন্ডির ভাড়া বাড়িতে। সে বাড়ির আরেক ফ্লোরে থাকতেন শেখ মারুফ। জলিল ভাই বাণিজ্যমন্ত্রী হওয়ার পর একদিন তাঁর বাসায় গিয়েছিলাম আমি আর কামরুল হক শামীম। শামীম আমিনুল হক বাদশা ও খন্দকার রাশিদুল হকের ছোট ভাই। ঐতিহ্যবাহী পরিবার। শেখ মারুফ, শেখ জামাল, আওরঙ্গদের বন্ধু। আমরা দুজন আসলে গিয়েছিলাম মারুফ ভাইয়ের বাসায়। ফেরার পথে জলিল ভাইকে দেখতে ভিতরে গেলাম। বললাম, এ বাসায় থাকবেন, না চলে যাবেন মন্ত্রিপাড়ার সরকারি বাড়িতে? তিনি জবাবে বললেন, ‘মন্ত্রী হলাম দেরি করে। কত দিন থাকব জানি না। মন্ত্রিত্ব চলে গেলে ছাড়তে হবে সরকারি বাড়ি। তার চেয়ে এখানেই ভালো আছি। ’ ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। জলিল ভাইকে ছাড়তে হয়নি বাড়ি। তিনি অবশ্য পরে ধানমন্ডি থেকে গুলশানে চলে যান। এখন ভোটের সংস্কৃতি বদলে গেছে। একবার চেয়ারে বসলে সফলতা-ব্যর্থতা যা-ই হোক মন্ত্রিত্ব যায় না। পদ হারাতে হয় না। কাউকে নিয়ে বিতর্ক হলে, লেখালেখি হলে পদ আরও পোক্ত হয়। প্রয়াত নেতা আবদুস সামাদ আজাদের কথা মনে পড়ছে। এটিএন বাংলায় কাজ করি। তাঁর মৃত্যুর কিছু দিন আগের কথা। একদিন আমাকে ফোন করলেন। বললেন, ‘তুমি জানো কিনা জানি না আমার বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে দলের ভিতরে। কাজটি সিলেটে বেশি হচ্ছে। তারা বলছে আমার নাকি খারাপ অসুখ হয়েছে, বাঁচব না বেশিদিন। এই প্রচারণাকারীদের জবাব দিতে হবে। সিলেট যাচ্ছি। বিশাল সংবর্ধনা হবে। আমি ভালো আছি। ’ সিলেটের মানুষ সংবর্ধনা দিচ্ছে। সিলেট ফোন করলাম প্রতিনিধি শাহ মজিবুর রহমান জকনকে। তাকে বললাম, সামাদ আজাদ সাহেবের নিউজের ক্যাসেট আগে পাঠিয়ে দিতে বিমানে। প্রয়োজনে উনি লোক দেবেন। তখন কারিগরি দিক থেকে টেলিভিশনগুলো আজকের অবস্থানে ছিল না। ক্যাসেট এলে আমরা নিউজ ধরাতাম। ক্যাসেট আনা ছিল অনেক ঝামেলার। বিশাল সংবর্ধনাই হয়েছিল আবদুস সামাদ আজাদের। সংবর্ধনা নিয়ে তিনি ঢাকা ফিরলেন। এর কিছুদিন পরই চলে গেলেন চিরতরে।

এরশাদের ক্ষমতা ছাড়ার দুই দিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখলাম দুই মন্ত্রীকে সমাবেশ করতে। সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ বক্তব্য। তারা বলছেন, ক্ষমতা ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। চারদিকে অনেক তরুণ যুবক। সবার কোমরে হাত, বোঝা যাচ্ছে অস্ত্র আছে। আর দাপট নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনের রাজপথে থাকা এ দুই মন্ত্রী ছিলেন কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম ও কাজী ফিরোজ রশীদ। হেয়ার রোডে দুজন সামনাসামনি বাড়িতে থাকতেন। এগিয়ে গেলাম তাদের দিকে। বললাম, ক্যাম্পাস উত্তাল। আপনারা এখানে কী করছেন? কী বুঝছেন? কাজী ফিরোজ ভাই বললেন, ‘বোঝার কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এভাবে কিছু ছেলে দাবি করল আর ক্ষমতা ছেড়ে দেব? সবকিছু বদলে যাবে?’ তাদের সঙ্গে কথা বলার দুই দিন পরই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন এরশাদ। বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশের দৃশ্যপট। কাজী শাহেদের মালিকানাধীন নাঈমুল ইসলাম খানের সম্পাদনায় আমরা বের করেছিলাম ‘আজকের কাগজ’। বেরিয়ে আসতে থাকল ক্ষমতার নয় বছরের অনেক কাহিনি। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কয়েক বছর আগে এরশাদের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। এরশাদ বলেছিলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল নূর উদ্দীন তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। বিশ^াস করে তাঁকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেননি। না হলে তিনি ক্ষমতা ছাড়তেন না।

এ জগৎসংসার বড়ই রহস্যময়। মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। ক্ষমতার রাজনীতি বড় নিষ্ঠুর। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে, টিকে থাকতে ক্ষমতাবানরা শুদ্ধ মনে করে একের পর এক ভুল করেন। ছোট ছোট ভুলগুলো একদিন মহাসমুদ্র হয়ে দাঁড়ায়। আর রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসে নেতা-কর্মীদের তিল তিল ত্যাগের ওপর ভর করে। আর তারা বিদায় নেন আমলা, বিভিন্ন সংস্থা আর সুবিধাভোগীর ওপর নির্ভর করে। ইতিহাস তা-ই বলে। আর একবার বিপদে পড়লে খুব সহজে কাউকে পাওয়া যায় না। বিএনপি এখন বাস্তবতা টের পাচ্ছে। একদা জেনারেল মইন ও মাসুদ আপা ডাকতেন বেগম খালেদা জিয়াকে। সে সময়ের রাষ্ট্রক্ষমতার আড়ালে থেকে একদল ব্যবসায়ী তৈরি হয়েছিল। আজ তারা কোথাও নেই। এমনকি ব্যবসায়ী এমপি যারা বিএনপিতে ছিলেন তারাও সরে পড়েছেন। সময় অনেক কিছু বদলে দেয়। বিএনপির কর্মী-সমর্থক আছে। কিন্তু সুবিধাভোগীরা নেই। কারণ সুবিধাভোগীরা সবসময় সরকারি দল। সরকার বদল হয় তারা বদল হন না। তারা থেকে যান একই ধারায়। এখনকার অনেক দাপুটেই বিএনপি আমলে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ছিলেন। হাওয়া ভবনের লোক ছিলেন।

ক্ষমতার রাজনীতি আর বিরোধী দলের বাস্তবতা হিসাব মেলানো বড়ই কঠিন। দেশ চালানোর জন্য সুষ্ঠু দক্ষ ব্যবস্থাপনা আর আইনের শাসনের বিকল্প নেই। শক্তির জোর সাময়িক। ক্ষিপ্ততা নিয়ে কাজ করার জন্য দরকার দক্ষ পর্ষদ। মানুষের মন বুঝতে হবে। উন্নত চিন্তাকে কল্পনায় না রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে। মানুষ নিরাপদে বসবাস চায়। মুক্তচিন্তা লালনে আইনের শাসন চায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চায়। বাজারের নিয়ন্ত্রণ চায়। বিপদের সময় প্রিয়জনদের পাশে চায়। কিন্তু মানুষের চিন্তার সঙ্গে বাস্তবের অনেক গরমিল। এ জগৎসংসারে সাধারণ মানুষের জন্য কেউই নেই। তারা সবখানে হোঁচট খায় পথ চলতে গিয়ে। অহংকার-অহমিকা আর ঈর্ষাপরায়ণদের কবলে জগতের সবকিছু। ভুল পথে চললেও তারা ধরে নেয় সব ঠিক আছে। কেউ সতর্ক করলে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে। ভাবখানা এমন- ভুল পথে হাঁটা অন্যায় কিছু নয়। সত্যিকারের বন্ধুর কাজ সচেতন করা, সতর্ক করা। উড়ে এসে জুড়ে বসাদের কাজ তোষামোদ করে লুটের পার্টনার হওয়া।

অদ্ভুত আঁধারে ঢেকে আছে আকাশটা। গোটা বিশ্ব অপেক্ষায় অন্ধকার কেটে যাওয়ার। কিন্তু কেউ জানে না কীভাবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে। মহামারী কেটে গিয়ে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়বে। দূর হবে মানুষের মনের নিষ্ঠুর হিংসা আর বিদ্বেষ। ফিরে আসবে মানবতা। করোনাকাল চারপাশটাকে আরও অমানবিক করে তুলেছে। রাজশাহীতে চেয়ারে বসে মারা যাওয়া আইনজীবীর পাশে কেউই এগিয়ে যায়নি করোনা রোগী মনে করে। চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ফেলে পালিয়ে যান স্বামী। বাবা দিবসে খোরশেদ মিয়াকে ডাস্টবিনে ফেলে যায় সন্তানরা। কুমিল্লা ফয়জুন্নেছা বিদ্যালয়ের বিপরীত ডাস্টবিনে ছিলেন খোরশেদ। পরে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছটফট করতে করতে মারা যান তিনি। হায়রে মনুষ্যত্ব, হায়রে সন্তানের ভালোবাসা। সমাজ কতটা খারাপ হলে সন্তান ফেলে রেখে যায় মাকে জঙ্গলে কিংবা রাস্তায়? মানুষ ভীষণ অসহায়। চারদিকে নিষ্ঠুরতার হাহাকার। অন্যায় আর অসংগতির উল্লাস। অনিয়মই এখন নিয়ম। কারও বলার কিছু নেই। করার কিছু নেই।

মানবতার লড়াইয়ের এক কঠিনতম সময়ে আজ বিশ্ব। আমার গ্রামের বাড়ি আগের লাকসাম এখন নাঙ্গলকোটে। লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম ভেঙে নাঙ্গলকোট উপজেলা হয়। একসময় লাকসাম ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উপজেলার একটি। ২৭টি ইউনিয়ন ছিল। আমরা লাকসামে ছিলাম ২৭ নম্বর জোড্ডা ইউনিয়নে। লাকসামের বিপুলাসার গ্রামের আহমেদ উল্লাহ ও আজিজ উল্লাহ দুই ভাই ঢাকায় ঠিকাদারি করে বিত্তশালী হলেন। তারা খিলা ও বিপুলাসারে দুটি স্কুল করেন। আরও অনেক জনহিতকর কাজ করেন। এখন লাকসামে অনেক বিত্তশালী। কতজন মানুষ জনহিতকর কাজে এগিয়ে যান বিনা রাজনৈতিক স্বার্থে? দক্ষিণ কুমিল্লা ও লাকসাম নিয়ে আরেক দিন লিখব। বাংলাদেশে জনহিতকর কাজ কমে যাচ্ছে। আর কমছে বলেই চট্টগ্রামে এত বিত্তশালী থাকতে করোনাকালে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। কেউই নিজের পরিবারের বাইরে কিছু করছেন না। বড় অদ্ভুত! শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। বেসরকারি হাসপাতালে কী হচ্ছে কেউ জানে না। এখন শুধু জেলা নয়, উপজেলা পর্যায়ে টেস্টের দরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের লোকজন মিডিয়াকে বলছেন, সমস্যা নেই আইসিইউ বা চিকিৎসার। কথাটা কতটা সত্য? আর সত্য হলে আপনাদের ফোন নম্বর পাবলিক করে দিন। মানুষ করোনা বা অন্য রোগ নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দেবে। আপনারা ব্যবস্থা নেবেন। আত্মতুষ্টিতে না থেকে বাস্তবতায় আসুন। মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষের মনের সব কষ্ট দূর করুন।

সব হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বিশেষ ইউনিট রাখতে হবে। খোলা রাখতে হবে সাধারণ চিকিৎসার বহির্বিভাগও। বেসরকারি হাসপাতালগুলো পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। করোনা ও সাধারণ চিকিৎসার ব্যবস্থা আলাদাভাবে নিতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে দিয়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে সারা দেশে। পরীক্ষার যৌক্তিক ফি সরকার নির্ধারণ করে দিক। মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। বাস্তবতা এড়িয়ে শুধু আরেকজনের সমালোচনা করলে চলবে না। সরকারকে খুশি করতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিজন শীলের সমালোচনা করে সময় পার করলে চলবে না। স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম নিয়ে লেখালেখি করার দায়ে অ্যাকশনভাবে থাকলে সংকটের নিরসন হবে না। মনের ঝাল মেটাতে পারবেন। কিন্তু সংকটের সমাধান হবে না। মানুষের মনে স্বস্তি আসবে না। চারপাশে একটু তাকিয়ে দেখুন। হাসপাতালে করোনা শনাক্ত কিটের সংকট চলছে। ৪৪ জেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাকি জেলাতেও পরীক্ষার গতি নেই। চিকিৎসা পরের কথা। আগে পরীক্ষা ঠিকভাবে হলে জানা যেত কতজন আক্রান্ত। রোগ চিহ্নিত হলে চিকিৎসা সহজ হয়। মানুষ বেঁচে যায়। কোনো অহমিকা নয়, কোনো দাম্ভিকতা নয়, মানুষকে বাঁচান। মানুষের পাশে থাকুন। রাজনৈতিক অঙ্গনে দক্ষ মানুষকে কাজে লাগান। সময় থেমে থাকে না। সামনে চলতে থাকে ঘড়ির কাঁটার মতো। জীবন চলার পথে এদিন চিরদিন নয়। নাটকের শেষ দৃশ্যের মতো সবকিছুরই একটা শেষ থাকে।

লেখক : প্রধান সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোর ও সম্পাদক বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল